শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক সংস্কার ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান এবং সুনির্দিষ্ট দাবি উপস্থাপন করতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে করেছে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’।
বুধবার (০২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ‘আকরাম খাঁ’ হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট লেখক ও এক্টিভিস্ট মাওলানা সাইমুম সাদির সঞ্চালনায় লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন বিশিষ্ট আলেম ও তাকওয়া মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম।
আঘাত করে। বিশেষ করে এলজিবিটি এবং জেন্ডার আইডিওলজিসহ ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কনটেন্ট এই মুসলিম অধ্যুষিত দেশের বইতে থাকা যাবে না।
৩। পাঠ্যপুস্তক থেকে চরম সাম্প্রদায়িক বয়ান বাদ দিয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে আনতে হবে। ইতিহাস পাঠে অবশ্যই বাংলার সোনালি যুগ অর্থাৎ সুলতানি আমলের নিরপেক্ষ ইতিহাস ও অবদানের কথা নিশ্চিত করতে হবে, যা পূর্বেকার স্বার্থান্বেষী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়েছিল।
৪। কীসের ভিত্তিতে এই সমন্বয় কমিটি এবং সংশোধন ও পরিমার্জন টিম গঠিত হলো ও সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হলো এবং কেন সেখানে যোগ্য শিক্ষাবিদ ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ নেই, সেটা জাতির কাছে স্পষ্ট করতে হবে।
৫। গণমানুষের চাহিদাকে আমলে নিয়ে আগামী বছরের জন্য নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতিফলন থাকবে।
‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ একই সাথে আরও আরেকটি বিষয় যুক্ত করে। তারা বলেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্যের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এ ধরনের বক্তব্যকে জনপরিসরে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা এবং ইসলামবিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গণ্য করা হবে।
এরপর প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রফেসর ড. মুখতার আহমেদ, শায়খ আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, শরীফ আবু হায়াত অপু এবং ডা. মেহেদি হাসান।