নড়াইলের লোহাগড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহতদের আরেক ভাই।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের মৃত ছামাদ শেখের ছেলে মিরান শেখ (৪২) ও জিয়ারুল শেখ (৩৭)। গুরুতর আহত আরেক ভাই ইরান শেখ (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মাহামুদ খান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে মাহমুদ খানের অনুসারী লোকজন ফেরদৌস শেখের লোকজনের ওপর হামলা চালালে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আহত হন। আহতদের লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিরান শেখ ও জিয়া শেখ দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরেক ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মাহামুদ খান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে মাহমুদ খানের অনুসারী লোকজন ফেরদৌস শেখের লোকজনের ওপর হামলা চালালে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আহত হন। আহতদের লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিরান শেখ ও জিয়া শেখ দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরেক ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা জানান, চর মল্লিকপুর গ্রামে সামাজিকভাবে দুটি দল রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস রহমান এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খান মাহমুদ আলম। যারা নিহত হয়েছেন তারা ফেরদৌস রহমানের পক্ষের লোক।
পুলিশ সুপার কাজী এহসান কবির বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অপরাধী যেই হোক, তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের সহিংসতা যেন আর না হয় এ কারণে ওই গ্রামে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের একাধিক টিম মোতায়েন রয়েছে।