Tuesday, April 1, 2025

আন্দোলনে আহত-নিহতদের তথ্য সংগ্রহে তৈরি হচ্ছে ওয়েবসাইট

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন ও সার্বিক সহযোগিতার নিশ্চিতের জন্য নতুন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি। যাতে হাসপাতালগুলো আহত এবং নিহতদের তথ্য আপলোড করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বন্যার এই কঠিন সময়ে চব্বিশের বিপ্লবে আহত এবং নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমআইএস) পরিচালক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সাথে স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির প্রতিনিধি দলের পক্ষে সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম ও সদস্য আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে আহত এবং নিহতদের তথ্য সংগ্রহে গঠিত ওয়েবসাইটের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়।

আরও পড়ুনঃ  এআই প্রযুক্তি দাজ্জাল আবির্ভাবের প্রমাণ: মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ

তারেকুল বলেন, বৈঠকে প্রায় সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি একটি তথ্য সংগ্রহের সিস্টেম (ম্যানুয়াল : Lly/3Q3T4) প্রদর্শন করা হয়, যাতে হাসপাতালগুলো আহত এবং নিহতদের তথ্য আপলোড করতে পারবে। তবে হাসপাতাল ছাড়াও আহত এবং নিহতদের তথ্য সংগ্রহে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরও তথ্য ইনপুট দেয়ার ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করি, যাতে যারা হাসপাতালের লিস্টে নেই তারাও তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এছাড়া নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালেও প্রমাণ প্রদর্শনপূর্বক তথ্য দেওয়া যাবে, যা ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা প্রতিটি উপজেলা ও সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রিক ভলিন্টিয়ার টিম দেব, যা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে

তিনি বলেন, কী পরিমাণ আহত হয়েছে সেটার তুলনামূলক ধারণা পাওয়ার জন্য আমরা এমআইএস থেকে সামারি ডেটা চাই, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট এ আগের ১৫ দিনের তুলনায় সরকারি ডেটাবেজ এ ১০ হাজার ৯৭৯ টি কেইস বেশি রেজিস্টার হয়েছে। নিহত শহীদদের আইডেন্টিটি প্রমাণের (যাদের ডেথ সার্টিফিকেট নেই) জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উপজেলাভিত্তিক এবং সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনসহ সকলকে নির্দেশনা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি আরও বলেন, এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের বার্তা অতি দ্রুত পৌঁছাতে আমরা লাইন ডিরেক্টর (উপজেলা হেলখ কেয়ার) সোহেল মাহমুদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করি যেখানে এমআইএসের ডেভেলপকৃত ওয়েবসাইটে তথ্য সংগ্রহের প্ল্যানিং তুলে ধরি, যেখানে তিনি কোন ধরনের কালক্ষেপণ ব্যতীত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা দেন।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি এবং আওয়ামীলীগকে একই পাল্লায় পরিমাপ করা অবিচার

তারেকুল বলেন, সব ধরনের দুর্নীতি, ধীরগতি ও অব্যবস্থাপনাকে পাশ কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়নে আমাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি এবং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তথ্য সর্বসাধারনের কাছে পৌঁছে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিষয়ক এই উপকমিটির সদস্য আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মো. মাসউদুজ্জামান ও ডা. মো. মনিরুজ্জামানসহ কমিটির কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ