Saturday, June 28, 2025

পেনশন সুবিধা বাতিল করে ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে অবসর

আরও পড়ুন

পেনশন সুবিধা বাতিল করে ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে অবসর দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মকিমা বেগম প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মতিউর রহমান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত; এর চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৯ আগস্ট সরকারি চাকরি থেকে অবসর (ঐচ্ছিক) দেওয়া হলো। এ সময়ে অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা (অবসর-উত্তর ছুটি, লাম্পগ্র্যান্ট এবং পেনশন) ব্যতীত অবসর (ঐচ্ছিক) দেওয়া হলো।

এর আগে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে আলোচনার জন্ম দেন মুসফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। পরে জানা যায় ইফাত এনবিআরের কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে কর্মরত মতিউর রহমানের ছেলে।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা

এরপরই একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলের বিপুল পরিমাণ টাকায় গরু-ছাগল কেনা নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মতিউর রহমান দাবি করেন, ইফাত তার ছেলে নন। এমনকি এই তরুণ তার পরিচিতও নন। এ ঘটনার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে মতিউর রহমানের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্যাডার পরিবর্তন করে বাণিজ্য ক্যাডারের ১১ ব্যাচ থেকে কাস্টমসের ১৩ ব্যাচের সঙ্গে চাকরিতে যোগ দেন ড. মতিউর রহমান। নতুন ক্যাডারে যুক্ত হওয়ার পরই প্রভাব-প্রতিপত্তি ও সম্পদ বাড়তে থাকে তার। ড. মতিউর রহমানের উত্থান মূলত ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার থাকাকালে। পরে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক জায়গায় পদায়ন হয়েছে তার। সাবেক এক চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাটের কমিশনার হিসেবে।

আরও পড়ুনঃ  রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

ইফাতের ছাগল কেনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। মতিউর রহমান এই তরুণকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করলেও ইফাতের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া দুটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তার পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও গ্লোবাল ম্যাক্স প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের নামে। আর এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন মতিউর রহমানের দুই সন্তান তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও ফারজানা রহমান ইপসিতা।

জানা গেছে, মতিউর রহমান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকেন। তার পারিবারিক মালিকানাধীন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের হেড অফিসও ওই এলাকায়। এ ছাড়া মতিউর রহমানের ছেলে অর্ণবের নামে অর্ণব ট্রেডিং নামেও একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া তার মেয়ের ল্যাম্বারগিনি নামে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারের ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যার দাম প্রায় ৪ লাখ কানাডিয়ান ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুনঃ  ৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান

এদিকে, ছাগলকাণ্ডের পর মতিউরের পাশাপাশি তার দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নামেও সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। এমনকি শাশুড়িকেও করে দেন ডুপ্লেক্স বাড়ি।

সর্বশেষ সংবাদ