Tuesday, April 1, 2025

চারজন বসতির সেই গ্রাম বিক্রি হলো ১৫ লাখ টাকায়

আরও পড়ুন

চারজন জনসংখ্যা নিয়ে গড়ে উঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম বিক্রি হয়ে গেছে মাত্র ১৫ লাখ টাকায়। গ্রামের পুরো জমির মালিক ছিলেন মো. সিরাজুল হক। ৪ মাস আগে আব্দুল মন্নাছের কাছে এই গ্রামটি বিক্রি করেন তিনি। তবে বুধবার বিকেলে গ্রামটি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায়।

স্থানীয়রা জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উমানাথপুর নামক গ্রামে বসতি ছিলো সিরাজুল হকের পরিবারের। ছোট এই গ্রামের মোট জমির পরিমাণ ২৫ শতক।

আরও পড়ুনঃ  গুলিবিদ্ধের ৪০ দিন পর মারা গেলেন সাব্বির

পরিবার সূত্রে জানা যায়, উত্তরাধিকার সূত্রে সিরাজুল হক স্ত্রী সন্তানসহ মোট ৪ জন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। দুটি থাকার ঘর, একটি গরুর ঘর, একটি ছোট পুকুর ও একটি টয়লেট আছে এই বাড়িতে।

জানা যায়, ৬০ বছর যাবত বসবাস করা সিরাজুল হক সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করেন। তিনি পুরো একটি গ্রামের মালিক হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় পরিচিত ছিলেন।

উমানাথপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি। এর আশপাশে গ্রামগুলো হলো- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর ও পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর।

আরও পড়ুনঃ  সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গ্রেপ্তারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল

সিরাজুল হক জানান, নিজের জন্য এত বড় বাড়ি প্রয়োজন নেই। তাই বিক্রি করে রাস্তার পাশে জমি কিনেছিলাম। কিন্তু এখন হিতে বিপরীত হয়েছে। নতুন জমিতে ঘর বাধতে দিচ্ছে না একটি পক্ষ। বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেও পাচ্ছিনা। ইফতার এবং সেহরি করতে হচ্ছে মোমবাতির আলোতে। একটি টিউবওয়েল পর্যন্ত স্থাপন করতে পারছি না।

বাড়ি বা গ্রামটি কিনেছেন পাশের গ্রামের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি পরিবারসহ ঢাকায় ব্যবসা করেন।

আরও পড়ুনঃ  গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াত আমির

আব্দুল মন্নাছ বলেন, বাড়িটি ক্রয় করেছি ১৫ লাখ টাকায়। কাগজপত্রসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ টাকা। আপাতত পরিবার নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠেছি।

সর্বশেষ সংবাদ