Monday, March 17, 2025

সরকার পতনের যে নীলনকশা প্রমাণসহ ফাঁস করলেন পিনাকী

আরও পড়ুন

আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রবাসী লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, সম্প্রতি ধর্ষণ ইস্যুকে ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার নীলনকশা করেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। রোববার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তথ্যপ্রমাণ সহকারে তুলে ধরেন তিনি। সিপিবির কাঁধে ভর করে সরকার পতনে কিভাবে ষড়যন্ত্রের মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করেন পিনাকী।

ভিডিওটিতে এই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আলোচনা করেছেন, কীভাবে কিছু গোষ্ঠী সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। একটা নির্দিষ্ট ন্যারেটিভ তৈরির জন্য ঘটনাগুলিকে কাজে লাগানো হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরকালে ধর্ষণ ইস্যুতে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়।

পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, প্রমাণ সহকারে এক ভয়ঙ্কর শয়তানির গল্প তুলে ধরবো। শয়তানি যারা করে তারা কিন্তু সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত মানুষ। তারা কিভাবে কোন ঘটনা দিয়ে কি ন্যারেটিভ তৈরি করে, কারা করে, কিভাবে করে, সেই অন্ধকার ক্ষমতার গল্প বলবো। অনেকের শুনে খুব খারাপ লাগতে পারে। অবাক হইতে পারেন। কিন্তু অকাট্য প্রমাণ আর কার্যকারণ দিয়ে আমি সেই ষড়যন্ত্রকে আজকে উন্মোচিত করব।

তিনি বলেন, ‘‘আপনাদেরকে সাথে নিয়ে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রকে গতকাল রুখে দিয়েছি। আমাদের অনেকগুলো ঘটনা দেখতে হবে আর মিলাতে হবে সেগুলো একসাথে। জাতিসংঘের মহাসচিব আসলেন আমরা জানি। উনার আসার কি গুরুত্ব সেটাও আমরা জানি। কিন্তু হঠাৎ কইরা বাংলাদেশের অনলাইন সরগরম হয়ে উঠলো। কি নিয়া? ধর্ষণের ডামাডোল। মনে হলো বাংলাদেশে ধর্ষণ জিনিসটা ছিলই না হঠাৎ কইরা ধর্ষণ বাইড়া গেছে।’’

কোনও সরকারকে দুর্বল করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল তার বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধির ধারণা তৈরি করা, বিশেষ করে যৌন সহিংসতা। এমন মত ব্যক্ত করে পিনাকী বলেন, ‘‘প্রফেসর ইউনুসের সরকার দেশ চালাইতে পারতেছে না। তার আমলে সব পুরুষ ধর্ষক হইয়া গেছে। ধ্বজভঙ্গ যা দেখছিল তারাও এখন ভালো হইয়া গেছে। আর তারা সব ঝাঁপাই পড়িচ্ছে মায়াদের উপরে। রাস্তায় রাস্তায় নাটক হচ্ছে। দেখেন আমি শাড়ি পরবো না হিজাব সেটা আমার সিদ্ধান্ত। আমাকে বন্দি করে রাখা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।’’

ড. ইউনূসের আমলে ধর্ষণ কি সত্যিই প্রচুর বেড়েছে এমন প্রশ্নের তথ্যপ্রমাণসহ উত্তর দেন প্রবাসী এই লেখক। ভিডিওটিতে তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির ধর্ষণের পরিসংখ্যানের সাথে ২০২৩ সালের ধর্ষণের পরিসংখ্যানের তুলনা করেন। পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখান, ২০২৩ সালে যখন বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হচ্ছিল বলে বলা হচ্ছে তখন সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল।

পিনাকী বলেন, বাংলাদেশে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এ দুই মাসে নির্যাতিত নারীর সংখ্যা ২৯৬জন। এরা নির্যাতিতা ধর্ষিতা না। কিন্তু ধর্ষণের শিকার ৯৬জন এরমধ্যে ৪৪জন শিশু‌। এক মাসে ২২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। খুবই দুঃখজনক ডাটা। এজন্য আমাদের সকলের সমবেদনা। আমরা পুরা জাতি এইজন্য লজ্জিত।

‘‘এবার আমরা আমাদের প্রিয় কাঁঠাল রানীর আমলের ডাটা দেখি। ২০২৩ সালে আট মাসে ধর্ষণের শিকার ৪৯৩ জন শিশু‌। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জন কন্যা শিশুর। ওই রহস্যজনক মৃত্যুর সংখ্যাকে যুক্ত করলে আট মাসে ৫৪৯ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মাসে প্রায় ৬৮ শিশু ধর্ষণের শিকার হইতো সেই সময় যখন বাংলাদেশ ধনধান্যে পুষ্পে ভরা ছিল’’ বলেন পিনাকী।

আরও পড়ুনঃ  মৃত্যুর আগে ফেসবুকে ২ পোস্টে কি লেখেছিলেন, সাংবাদিক রাহনুমা

তাহলে কেন বামেরা এখন ক্ষেপে উঠলো সেই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘‘তারা পুলিশের উপরে উস্কানি ছাড়া লাঠি ছুড়ে মারতেছে। এই যে জামা ছিড়ে দিচ্ছে, মারতেছে। রোজা রাখা পুলিশকে কিভাবে মারিছে। পুলিশটারে দেখে এত মায়া লাগাইছে। বলতেছে যে, আমি তো রোজা আছি, আমি এখন হসপিটালে গেলে তো আমার রোজা ভেঙে যাবে, আমাকে ওষুধ দিবে। কিভাবে মারছে তাদেরকে এই বামেরা! হঠাৎ করি পিছন দিকে আসে লাথি মারা শুরু করে। কেন বামেরা এমন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো- এটা কি বুঝে আসে না।

পিনাকী বলেন, সরকারের সাফল্য দেখা যায় মাত্র চারটা জিনিসে। প্রথম হচ্ছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। যেমন খাবার-টাবারের দাম কেমন? জিনিসপত্রের দাম কেমন কমেছে? আর জিনিসের দাম তো কমেছে। সরকার এক্ষেত্রে সফল।
এবার আসি দুর্নীতি প্রসঙ্গে। এই সরকার দুর্নীতি করে তার শত্রুরাও বলতে পারবে না। এইখানেও সরকারের জন্য সবুজ মার্ক। তিন নাম্বার হচ্ছে, জনগণের আস্থা আছে কিনা? যেটা ভোটটোট দিয়ে তৈরি হয়। এই সরকার যদিও ভোটে আসেনি কিন্তু তারপরেও তোজনগণের আস্থা আছে। তাই না। অবশ্যই আছে। এখানেও টিকমার্ক।

বাকি চার নাম্বার হচ্ছে, অপরাধ প্রবণতা। এইখানে আমরা কোশ্চেন মার্ক দিয়ে রাখি। অপরাধের মধ্যে বিশেষ করে সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স বা ধর্ষণের ঘটনা সরকারের উপরে আস্থা কমায় দেয়। সরকারের জনসমর্থন কমে যায়। এগুলো আমার বানানো কথা না এগুলো অসংখ্য গবেষণায় প্রমাণিত।

পিনাকী বলেন, তাহলে প্রফেসর ইউনূসের সরকারকে বাম্বু দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর কৌশল কি? আপনি যদি হাসিনা হইতেন কি করতেন? আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ সেটা দেখানোর চেষ্টা করতেন। যত না খারাপ তার চেয়ে বেশি দেখানোর চেষ্টা করতেন। পারলে নিজের টাকা দিয়ে অপরাধীর সাথে চুক্তি করে খুন-খারাবি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটাইতেন। আওয়ামী লীগ তো ডাকাতকে ভাড়া করেছিল। ঢাকা শহরে তো কয়েকশো মাস্তান আছে। আমি এর মধ্যে ২০০ মাস্তানকে আলাদা করে কথা বলতাম। আপনারা রাজনীতি করলে চিনবেন।

তিনি আরও বলেন, এসব গ্যাঞ্জাম হাসিনার জন্য ডাইলভাত। বরগুনায় দুইটা হইলো ঢাকায় চাপ পড়বে? পড়বে না। তবেএজেন্সিগুলো এটা নিয়ে খেলে। সাত্তার সরকারকে এভাবেই ফেলাইছিল এজেন্সি। আমি ঘটনা জানি, শুনেছি। যাদেরকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটাইছিল তাদের কাছেই শুনেছি।

পিনাকী বলেন, সংখ্যায় অনেক লাগে না একটা হইলেই চলে। একটা জায়গা মতো দেশের যেকোনো প্রান্তে হইলে হয় সেটা হইতেছে, ধর্ষণ। এইটারে ঠিকমত রান্না করতে পারলে কেল্লাফতে। সরকার পইড়া যাবে। সরকার এটা ঠেকাইতেও পারবে না। কাজটা তো একজন মানুষ করে ঘরের এর মধ্যে। কেউ জানে না যে এই কাজ করতে যাইতেছে। কারো সাথে তো এটা কইয়া যায় না যে আমি কলে করতে যাইতেছি।

‘‘প্রফেসর ইউনূসের জায়গায় চেঙ্গিস খানারে বসায় দিল সেও ঠেকাইতে পারবে না এটা।এই কাজটাতে হাসিনার দল মাস্টার, পোস্ট ডক্টরেট করা। সে এইটারে পলিটিসাইজ করে উইপেনাইজ করে ধর্ষণকে তার ক্ষমতায় যাওয়ার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে’’ বলেন পিনাকী।

আরও পড়ুনঃ  রিমান্ডে থাকা সেই পুলিশ কর্মকর্তা কাফী বরখাস্ত

১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট দিনাজপুরের ১০ মাইল এলাকায় ১৬ বছর বয়সী কিশোরী ইয়াসমিনের আলোচিত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে আলোচিত এই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, তাকে পুলিশ সদস্যরা পুলিশ ভ্যানে নেয় এবং তারপরে গণধর্ষণের পরে হত্যা করে।এ ঘটনার পর পুলিশ প্রথমে লাশটাকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে চিহ্নিত করে তড়িঘড়ি করে ময়না তদন্ত এবং দাফনের ব্যবস্থা করে। তারপরে শুরু হয় দিনাজপুরে প্রচন্ড বিক্ষোপ। তারপরে সারাদেশে বিক্ষোপ। দিন পর মরদেহ কবর থেকে তুইলা আবার পুনরায় ময়না তদন্ত করা হয়। মামলা দায়ের হয়। আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়ায় পরে বিশাল একটাগ্যাঞ্জাম হয়। এটা দেশব্যাপী ছড়ায় দেয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ। তখন বিএনপি ক্ষমতায়। দিনাজপুরে কারফিউ দিতে হয়, থানা আক্রমণ হয়। চারজন মারা যায়।

ইয়াসমিন ধর্ষণ মামলা কেন এত সেনসেশনাল হয়ে ওঠে এটা একটু বুঝে দেখি সব। অনেক তো ধর্ষণ হয় সবগুলো সেনসেশনাল এটা কেন সেনসেশনাল হইলো। এটা বুঝে দেখি। দিনাজপুর এটা আওয়ামী লীগ এলাকা চিরদিনের জন্য। ১৯৯১ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় কিন্তু দিনাজপুরে ছয়টা আসনের মধ্যে পাঁচটা আওয়ামী লীগের, একটা জামাতের, বিএনপি শূন্য। প্রশাসন পুলিশ ওই সময় দিনাজপুরে সব আওয়ামী লীগের লোক ছিল। সব বড়রা আওয়ামী লীগ। যে পুলিশ ধর্ষণ করছিল ওটা আওয়ামী লীগ ছিল।

পিনাকী বলেন, কেন বলতেছি এই কেস সেনসেশনাল হয়ে গেছে। দুইটা কারণে। এক; ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণ সম্পর্কেস্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় না। বলে এটা ধর্ষণ হয়নি। আর পুলিশ বলে যে ইয়াসমিন ছিল পতিতা। এই দুইটা ঘটনা সারা বাংলাদেশের মানুষকে জ্বালায় দেয়। যেই ডাক্তার ময়না তদন্ত করছিল তার নাম ডাক্তার মহসিন। সাবেকছাত্র ইউনিয়ন রাজশাহী মেডিকেলের ছাত্র। আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে সে তখন ফাইনালইয়ারে। ডাক্তারের নামে আলামত লুকানোর মামলা হয়েছিল। ৯৬ এ হাসিনা ক্ষমতায় আইসা ডাক্তারের খালাস কইরা দেয়। ইয়াসমিনের মামলায় সাজা হয় পুলিশের ফাঁসিও হয়। কি জন্য হয় সাজা ধর্ষণের দায় না হত্যার দায়ে। ফাঁসি কার্যকর করে খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে ১৯৯৬ এ হাসিনার মূল ক্যাম্পেইন ছিল মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষায় ব্যর্থ বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যালটে রায় দিন। হাসিনা জিতে যায়। তো আওয়ামী লীগ ইয়াসমিন তো ধর্ষিতা হয় নাই তুই তো ছাইড়া দিছো ডাক্তারকে। কাগজেকলমে তো তাই। ইয়াসমিনকে স্তম্ভ করে কি সিপিবির মহিলা পরিষদ দেখেছেন?

‘‘একইভাবে আছিয়ার ধর্ষণ এবং মৃত্যুকে উইপনাইজ (হাতিয়ার) করতেছে আওয়ামী লীগ। করতেছে এই সিপিবি ছাত্র ইউনিয়ন এদেরকে দিয়া। ধর্ষককে গ্রেফতার করছে। দ্রুত বিচারের জন্য মামলা করছে। বামের আর কি চায় ওরা বলুক। আর কি চায় বলতে পারবে না। আছিয়ার ধর্ষণ কেন হইলো? এখন তো আছিয়ার মারে আর বাবারে ধরতে হয় যে কেন ওই মাইয়ারে বিয়া দিছো কেন ওই বাসায়’’ বলেন পিনাকী।

এবার তিনি আসিয়ার ঘটনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। তার বোনের অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সে সম্ভাব্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে- এমন বিষয় তিনি তুলে ধরেন। আছিয়ার বোনের স্টেটমেন্টে ঘটনা নিয়ে দুই-তিন রকম এবং সাংঘর্ষিক যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পিনাকী আছিয়ার বোনের অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য উল্লেখ করে এটা মেটিকুলাস প্ল্যান ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন। আর এই ইস্যু দিয়ে প্রফেসর ইউনূসকে ফেলায় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুনঃ  কারফিউ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

তিনি বলেন, ‘‘কেমনে বলে ১৫ মার্চে এয়ারপোর্টে জনতার ঢল নামবে। মানে ১৫ তারিখ তারা কিছু করবে যখন গুতেরেস থাকবে এইখানেই। বামেরা এই জন্যই ১৫ তারিখে গণমিছিল ডাকিছে। লাকি একটা আওয়ামী লীগ আর বাম মিলে ঠিক করে দুই জায়গায় সমাবেশে ডাক দিবে। শাহবাগ আর শহীদ মিনারে। কারা এই গণজাগরণ মঞ্চে ১৫ তারিখে গণমিছিলের কথা বলেছে ভিডিওতে দেখে নিন।

পিনাকী আরও বলেন, ১৫ তারিখের প্রস্তুতি দেখেছেন আওয়ামী লীগের? আওয়ামী লীগের সিক্রেট গ্রুপে তারা কইতেছে লাকির দেখানি পথে যাইতে হবে। সাথে নিছে সন্তুমা লারমাকে যে কিনা দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। যার হাতে আমাদের অসংখ্য সৈনিক আর অফিসারের রক্ত লেগে আছে। যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ার সাহায্য নিয়ে। ইন্ডিয়ান মাল পুরাটা। এবার বুঝেছেন তো প্ল্যান। সব ইন্ডিয়ান মাল। সব ইন্ডিয়ান রসুনের গোয়া কেমনে এক জায়গায় মিলিছে।

‘‘১৫ তারিখের ওই গণমিছিলে সুশীল লীগ আফসোস লীগ ছাত্রলীগ সবাই নাম তো। নাম তো দিছেই গণমিছিল। হাজার দশক লোক নামানোর পরিকল্পনা নিছিল। অমি-পিয়াল বলিছে না, ২০ তারিখে এয়ারপোর্ট বন্ধ কইরা দিয়া ছাত্রনেতা আটকাইতে। প্ল্যান বুঝেছেন। সব ইন্ডিয়ান মাল নামিছে। মাইর খাইছে পুলিশ আর প্রথম আলো নিউজ করছে ছাত্র সংগঠনের উপরে হামলা। দেখেছেন তো সব ইন্ডিয়ান মাল কিভাবে নেমে পড়েছে এই ধর্ষণ ইস্যুটাকে উইপেনাইজ করে প্রফেসর ইউনুসের সরকারকে বেশামাল করে দেওয়ার জন্যে’’ বলেন পিনাকী।

তিনি আরও বলেন, আমি বলছি সিপিবি অফিসে আমি দখল করে নেব। ওরা গণমিছিল বাতিল করেছে। ইত্তেফাকের রিপোর্ট শুনেন হত্যা ধর্ষণ নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে শনিবার গণমিছিলের কর্মসূচি দেয় বামপন্থীআটটি সংগঠন। এর পাল্টায় ঢাকার পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কার্যালয়কে ছাত্রজনতার কার্যালয় বানানোর ডাক দিয়েছেন লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্য। রাত থেকেএ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পিছু হটে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। পরিস্থিতি বুঝে কর্মসূচিতে যোগই দেননি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকি আক্তার।

সবশেষে পিনাকী আবারও ঘোষণা দেন, আমি শুধু সিপিবির পুরানা পল্টন না সারাদেশে সিবির অফিস আমি দখল কইরা নিব। আমি কইয়া দিলাম তো। আমি হঠাৎ কোন কাজ করি না তাই আগাম ঘোষণা দিয়া রাখলাম। হাড্ডি ঘুইরা করে দিব শা.. ইন্ডিয়ার দাজালের বাচ্চা আওয়ামী লীগ। নিশ্চিন্ত করতে চান আপনারা সিপিবিরে জয় বাংলা করেন। আওয়ামী লীগ আর ফিরতে পারবে না। সিপিপি জিন্দা থাকলে আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে আমি কইয়া দিলাম। লিখে রাখেন ইন্ডিয়া আবার ফিরবে। আমি কইয়াদিলাম লিখে রাখেন। যেখানেই সিপিবি সেখানেই প্রতিরোধ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

সর্বশেষ সংবাদ