উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার দিন মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীতে সৃষ্ট যানজটে মানুষের অসুবিধা হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেন। গুলশানে নিজের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এই সময় বিপুলসংখ্যক জনগণ তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন অন্যায় আক্রোশের শিকার হওয়া দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের অমূল্য এই ভালোবাসা প্রকাশের কারণে সেদিন রাস্তায় অনেক যানজট হয় এবং অনেকের জন্য বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে এ জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিএনপির মহাসচিব অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকাবাসী এই সাময়িক অসুবিধাকে সুনজরে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশবাসী অবগত আছেন যে, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে দেশনেত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশবাসীর এটাও স্মরণ আছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধা বেগম খালেদা জিয়া কোনো অন্যায়ের প্রতি আপস না করে, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিগত সরকারের দেওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে থাকাকালীন উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার (বেগম জিয়া) শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ওনার পরিবার থেকে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশনেত্রী কারাগার থেকে মুক্তি পান বটে; কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাকে বিদেশে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
