Saturday, June 28, 2025

এবার আলুর কেজি ৪২০ টাকা!

আরও পড়ুন

বগুড়ার শিবগঞ্জে সনাতনীদের নবান্ন উৎসব শেষ হলেও নতুন আলুর দাম কমছে না। সোমবার (১৮ নভেম্বর) শিবগঞ্জের হাটে-বাজারে বেড়ে ৪২০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হয়েছে। অথচ রোববার (১৭ নভেম্বর) একই কারণে নতুন আলু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু নবান্নের পরদিনই আলুর দাম আরও কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গেছে।

উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় সবজির বাজার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটে সোমবার নতুন আলু পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। আর সেই আলু শিবগঞ্জ থানা বাজার, শিবগঞ্জ হাট, মোকামতলা, গুজিয়া, আমতলী ও কিচকের খুচরা বাজারে ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘ছাত্র-জনতার দাবিতে’ কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হলো মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল!

মৌসুমের শুরুতে বাজারে নতুন আলু ওঠায় আকার ও প্রকারভেদে ৩৮০-৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে বেশি দামে আলু কিনেও খুশি অনেক ক্রেতা। তারা বলছেন, নতুন আলু খেতে খুব ভাল লাগে। আর এজন্যই কম করে কিনছেন।

মহাস্থান সবজি বাজারে আলু বিক্রি করতে আসা অনন্তবালা গ্রামের জহুরুল মুন্সী বলেন, ‘বগুড়ায় এখনো পুরোদমে নতুন আলু তোলা শুরু হয়নি। কিছু কৃষক অল্প পরিমাণে আগাম আলু রোপণ করেছিলেন, তারাই বাজারে বিক্রি করছেন। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে কিছু নতুন আলু আসছে। আমদানি কম ও চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি।’

আরও পড়ুনঃ  ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা, কমছে খরচ

হাত বদলে বাড়ছে আলুর দাম, বিপাকে ভোক্তা

শিবগঞ্জ থানা বাজারে আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, ‘নবান্নের বাজারে নতুন আলু পাওয়া যায়। সঙ্গে নতুন শাকসবজি। যেহেতু বাজারে পর্যাপ্ত নতুন আলু নেই, তাই দাম বেশিতেই কিনলাম। এ আলুতে রান্না করা সব কিছুই ভালো লাগে। এজন্য বেশি না কিনে মাত্র আড়াইশ গ্রাম কিনেছি।’

জানা গেছে, শিবগঞ্জসহ বগুড়ার সব উপজেলায় এখন আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগাম ধান কাটার পর আলু রোপণ করা হচ্ছে। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে আলু রোপণ। রোপণের ৬০ দিন থেকে আলু উত্তোলন শুরু করেন চাষিরা। আগাম জাতের আলু চাষে প্রতি বিঘায় সর্বোচ্চ ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশ ও ভারত সেনাপ্রধানদের ভার্চুয়াল বৈঠক

কৃষি অধিদপ্তর বগুড়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আলুর ভরা মৌসুম শুরু হবে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারিতে। তখন নতুন আলু বাজারে আসবে। এখন সামান্য কিছু কৃষক অধিক লাখের আশার আগাম আলু চাষ করেছে। যা বেশি দামে বিক্রিও হচ্ছে। তবে এগুলো পরিপক্ব নয়। এ বছর বগুড়া জেলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি থেকে ৪০ হাজার ৫০০ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ