Sunday, August 17, 2025

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য পুনর্স্থাপনে চিন্তিত ভারত

আরও পড়ুন

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম পণ্যবাহী কোনো জাহাজ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাহাজটি করাচি থেকে রওনা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে।

ঘটনাটিকে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশন। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য পুনর্স্থাপনে চিন্তিত ভারত হয়েছে বলা হয় পাকিস্তান হাইকমিশনের বিবৃতিতে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ ঘটনাকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে একটি প্রধান পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে এ ধরনের সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ইরানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির রাশিয়া

ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার একটি সূত্র বলেছে, গত বছর মোংলা বন্দরের একটি টার্মিনালের অপারেটিং অধিকার সুরক্ষিত করে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত জয়লাভ করেছিল ভারত।

কিন্তু এখন, পাকিস্তান চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশাধিকার পেয়েছে। দুটি বন্দরের সমুদ্রপথে এখন পাকিস্তানি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেবে। বিষয়টি অবশ্যই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে কারণ, মিয়ানমার চট্টগ্রামের খুব কাছাকাছি ।
বুধবার করাচির ওই জাহাজটি তিনশর বেশি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে।

জাহাজ ভেড়ানো সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।

আরও পড়ুনঃ  দেশব্যাপী অরাজকতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত : আইএসপিআর

এ সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই নতুন রুটটি পণ্য পরিবহনের চেইনকে স্ট্রিমলাইন করবে, ট্রানজিট সময় কমিয়ে দেবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ খুলে দেবে।

টেলিগ্রামকে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বাংলাদেশের দুটি প্রধান সমুদ্র বন্দর এবং উভয়ই পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বাইরে রয়েছে। সিঙ্গাপুর বা কলম্বোতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হতো। এখন যেহেতু পাকিস্তানি জাহাজগুলি সরাসরি চট্টগ্রামে আসবে, ভারতের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির জন্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পণ্য পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারবেন না।

আরও পড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রে যেই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না : ড. দেবপ্রিয়

চট্টগ্রামে ২০০৪ সালের অস্ত্র উদ্ধারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা এখনও সবচেয়ে বড় ঘটনা সেটি।

এদিকে পাকিস্তানের জাহাজ বাংলাদেশে নোঙরের বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নতুন শাসনব্যবস্থা সরাসরি সমুদ্র সংযোগকে স্বাগত জানায়। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিরও আশা করে কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে বাণিজ্যের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ