Monday, August 18, 2025

আমরা ছাত্রলীগের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছি : হাসনাত আবদুল্লাহ

আরও পড়ুন

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের সব ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা অনেক শিক্ষক ও প্রক্টর দেখেছি, যারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। ছাত্রলীগের হামলায় কেউ মরে গেলে সে হয় আবরার, আর যে বেঁচে যায় সে হয় শিবির। আজকে ছাত্রলীগ তুমি কোথায়, সাদ্দাম-ইনান তোমরা কোথায়? ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ছাত্রলীগের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বলতে শোনা যায়, তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যেসব অপরাধ করেছে, মানুষের গলা চেপে ধরেছে, আইন-আদালতকে নিজের মতো বানিয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, গণরুম-গেস্টরুমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছে, আগামী ১০০ বছর জেল খাটলেও তাদের শাস্তি পূর্ণ হবে না।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এ দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, গণরুম-গেস্টরুমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছেন। আপনারা যদি কখনো দেশে ফিরতে চান আপনাদের প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করে ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নেবে আপনারা দেশে থাকতে পারবেন কি না। ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন এ দেশে ফ্যাসিবাদের দোসর, লাঠিয়াল বাহিনী ও সহযোগীদের পুনর্বাসন হবে না। আপনারা টুক করে এ দেশে ঢুকে যাবেন এ আশা বাদ দিয়ে দেন।

আরও পড়ুনঃ  মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গুরুতর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তিনি ওয়েস্টার্ন ও ভারতীয় মিডিয়ায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে জিহাদি অভ্যুত্থান বলে প্রচারের চেষ্টা করছেন। আমরা বলতে চাই, এটা কোনো জিহাদি অভ্যুত্থান ছিল না, এটা ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের অভ্যুত্থান। যারা দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে জুলুম কায়েম করেছিল, এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা তাদের কবর রচনা করেছি। ভবিষ্যতে যারা জুলুম কায়েমের চেষ্টা করবে তাদেরও এ দেশের ছাত্র-নাগরিক এক হয়ে রুখে দেবে। সমূলে উৎখাত করবে।

আরও পড়ুনঃ  দুই স্যুটকেসে কী নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা?

এ সময় সংহতি সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের মুখপাত্র তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ