Wednesday, March 19, 2025

ইসরায়েলি সেনাদের ওপর প্রথম দিনে লেবাননের ব্যাপক তাণ্ডব

আরও পড়ুন

লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এ অভিযান শুরু করে প্রথম দিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। লেবাননের সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করে আবার পিছু হঠেছে তারা। এ ছাড়া সেনা থেকে শুরু করে ট্যাংকও গুঁড়িয়ে দিয়েছে হিজবুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রথম দিনে পৃথক তিনটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রথম দিনের সংঘর্ষে অন্তত আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ডজনের বেশি সেনা।

আরও পড়ুনঃ  স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অনড় জার্মানি

আলজাজিরা জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলায় আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননে সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াবগ সংঘর্ষ হয়েছিল। যদিও বিষয়টি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল, কেননা ২০০৬ সালে সবশেষ তারা মুখোমুখি হয়েছিল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২০০ রকেট ছুড়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেন, ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেবে। তারা ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে। এটি মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে।

এর আগে হিজবুল্লাহ জানায়, তারা ইসরায়েলের তিনটি ট্যাংক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ট্যাংকগুলো লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। বুধবার এগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  বিয়ের জন্য সবকিছু প্রস্তুত, বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে বরের মৃত্যু

ইরান-সমর্থিত এ গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা রকেটসহ তিনটি মারাকোভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। এসব ট্যাংক মারুন আল-রাস গ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এলাকাটিতে সকাল থেকেই ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘর্ষ হয়ে আসছে।

এদিকে, হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার কথা জানালেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র যেসব স্থানে আঘাত হেনেসে সেসব স্থানে ছবি বা ভিডিও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে জানান, যেসব নাগরিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাস্থলের অবস্থান প্রকাশ করছে বা যেসব এলাকা ধ্বংস হয়েছে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে প্রচার করছে তারা শত্রুকে সাহায্য করছে। ইসরায়েলকে রক্ষার দায়িত্ব তার নাগরিকদের হাতে। ইসরায়েল কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করবে না।

আরও পড়ুনঃ  ববিতে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১৫

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, নেভাতিম ঘাঁটিতে অন্তত কয়েক ডজন মিসাইল ছুড়েছে ইরান। যেগুলো একের পর এক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে দেখা গেছে। ইরান দাবি করছে এ হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এফ-৩৫ বিমান ধ্বংস হয়েছে, যদিও ইসরায়েল এমনটা অস্বীকার করছে।

সর্বশেষ সংবাদ