Sunday, August 17, 2025

ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী

আরও পড়ুন

রাজধানীসহ সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে ফৌজদারি কার্যবিধির বিভিন্ন ধারায় ছোটখাটো নানা অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে বিচার করতে পারবেন তারা।

‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে ৬০ দিন (২ মাস) পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে যা বললেন প্রেসসচিব

প্রজ্ঞাপনে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬টি ধারায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। ধারাগুলো হলো- ১৮৯৮- এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২। এসব ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

তবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে-

আরও পড়ুনঃ  আবারও ধেয়ে আসছে বন্যা, পূর্বাভাস গবেষকের

জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

উল্লিখিত ক্ষমতা ছাড়াও, যে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সে সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ