Wednesday, March 19, 2025

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৮৭৫

আরও পড়ুন

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) প্রকাশিত পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনটি প্রতিবেদন তৈরিতে ১২টি জাতীয় দৈনিক, নিজেদের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতা নিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে গুলিতে। ১৮ থেকে ২০ জুলাই এবং ৪ থেকে ৭ আগস্ট- এই সাত দিনেই নিহত হয়েছেন ৭৪৮ জন। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার

এইচআরএসএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনে ১০৭ শিশু, ৬ সাংবাদিক, ৫১ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ১৩ নারী ও মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই আন্দোলনে আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩২৭ ও ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (চিকিৎসাধীনসহ) ৫৪৮ জন মারা গেছেন। ৭৭ শতাংশের মৃত্যু গুলিতে এবং বেশি মারা গেছেন ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা (৫৩ শতাংশ)। মৃতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ৫২ শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াত নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সমর্থন দেখে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে নাম জানা গেছে ৭৪৩ জনের। ৬১৯ জনের বয়স বিশ্লেষণে ১৮ বছরের কম বয়সী ১০৭ (১৭%), ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩২৭ (৫৩%), ৩১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৫৮ (২৬%) ও পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৭ জন (৪%) পাওয়া গেছে। ৬১৯ জনের মধ্যে ৭০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। নিহতদের মধ্যে ৩৫২ জনের পেশা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থী ১৮৪ (৫২%), শ্রমজীবী ৭০ (২০%) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৫১ জন (৫%)।

আরও পড়ুনঃ  ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী

এইচআরএসএস মোট ৭৭২ জনের মৃত্যুর ধরন বিশ্লেষণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯৯ বা ৭৭ শতাংশ গুলিতে নিহত হয়েছে। ৬১ জন (৮%) অগ্নিদগ্ধ, ৮৫ জনকে (১১%) পিটিয়ে হত্যা ও অন্যান্য কারণে মারা গেছেন ২৭ জন (৪%)। নিহতদের মধ্যে সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে ৫৪০, চট্টগ্রামে ৯১, খুলনায় ৮১, রাজশাহীতে ৬৪, ময়মনসিংহে ৩৮, রংপুরে ২৯, সিলেটে ২০ ও বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ১৩ জন।

সর্বশেষ সংবাদ