Monday, August 18, 2025

‘এ দেশে মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দিতে হবে না’

আরও পড়ুন

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে,সে দেশে সব প্রকার বৈষ্যমের কবর রচনা হোক। যে দেশে মসজিদ পাহারা প্রয়োজন হয় না,সে দেশে মন্দিরও পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত রুদ্রসেন, অন্যান্য শহীদ, আহতদের জন্য সমাবেশ-দোয়া অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক, যারা জন্মগ্রহণ করবে তারাও এই দেশের মানুষ। কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেনি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে দেশের সোনার সন্তানরা শহীদ হয়েছেন। বুকের তাজা রক্তে ভরে উঠেছে এই দেশের রাজপথ। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে এই সফলতা যদি কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাহলে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ তা সহ্য করবে না। আপামর জনতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে যদি কোনো দল সুফল নিতে চায় তা হবে না। যদি কেউ এই আন্দোলনের সুফলকে ব্যবহার করতে চান তাহলে মানুষ তা রুখে দেবে।

আরও পড়ুনঃ  আখাউড়া সীমান্ত থেকে সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী আটক

ক্ষমতার মালাই খাওয়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উদ্দেশ্য না জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, সমাজের একটা গুণগত পরিবর্তন আনা আমাদের লক্ষ্য। এমন একটি দেশ, এমন একটি জগৎ আমরা আমাদের এখানে চাই যেই দেশে জাতি দল নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। এদেশের নাগরিক হিসেবে সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দিতে পারেন।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে। যাতে শহীদদের পরিবার বলতে পারেন, আমাদেরও একজন শহীদ আছে। আমাদেরও একজন আবু সাইদ, মুগ্ধ, রুদ্রসেন ও রাহুল আছেন।

আরও পড়ুনঃ  রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মামুনুল হক

তিনি বলেন, আগে বিদ্যালয়গুলোতে মারামারি হানাহানি হতো। এখন সেই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা একত্র হয়ে নিজেরা যা পেরেছে দিয়ে বন্যার্তদের সহায়তা করেছে। সব বাবা-মা চায় তার সন্তাদের তাদের চেয়ে বড় হোক, ভালো থাকুক। আমরা এমন একটি সমাজে গড়ব। যে সমাজে আমরা সবাই মিলে থাকব।

এ সময় শহীদ ৭টি পরিবারকে ১৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

এর আগে তিনি শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত রুদ্রসেনের দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরের বাসভবনে যান। সেখানে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটান এবং সমবেদনা জানান।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ