বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ও বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এমন অনেকে নিহত হয়েছেন, যারা ছিলেন পরিবারের একমাত্র অথবা অন্যতম উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পরিবারের সদস্যরা। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এরকম পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনকল্পে এককালীন আর্থিক সহায়তা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
পোস্টে তিনি একটি ফরমের লিংক যুক্ত করে বলেন, আপনার পরিচিত এরকম কেউ থাকলে ফরমটি
আহমাদুল্লাহ জানান, বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য ঘোষিত প্রকল্প চলমান আছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১০৭১ জন আহতকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন নিয়েও কাজ শুরু হলো আলহামদুলিল্লাহ।
আহমাদুল্লাহ জানান, বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য ঘোষিত প্রকল্প চলমান আছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১০৭১ জন আহতকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন নিয়েও কাজ শুরু হলো আলহামদুলিল্লাহ।
এর আগে শত শত টন ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান শায়খ আহমাদুল্লাহ। গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়, চলছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ প্রস্তুতির বিশাল কর্মযজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ টন, যা এখন ৭০০ টনে পৌঁছাচ্ছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে আরও বর্ধিত হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রথম ধাপে আমরা ২০ হাজার পরিবারকে দিচ্ছি ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, বনরুটি, কেক, বোতলজাত পানি, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। ইতোমধ্যে আমাদের ৫টি গাড়ি স্পটে পৌঁছে গেছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ৪০ হাজার পরিবাররকে ১০ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৪ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনকল্পে টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই জাতীয় দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার তাওফিক দিন।
বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ান শায়খ আহমাদুল্লাহ। এবারের বন্যায় কেবল বন্যার্ত মানুষ নয়, এসব এলাকায় আটকে পড়া গবাদি পশুর জন্যও ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন তিনি। এমনকি বন্যার্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্যাংকিতে পানি তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান, বাড়িতে পানির পাম্প থাকার পরও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় যারা পানি তুলতে পারছেন না, আমরা জেনারেটর নিয়ে তাদের বাড়িতে যাচ্ছি, পানির ট্যাংক ভর্তি করে দিয়ে আসছি। চারপাশে থৈ থৈ পানি অথচ এই দুর্যোগে বিশুদ্ধ পানির সংকটই সব থেকে বেশি।