Tuesday, August 12, 2025

জাসদ ছাত্রলীগ থেকে যেভাবে জামায়াতের আমির হলেন ডা. শফিকুর রহমান

আরও পড়ুন

ডা. শফিকুর রহমান। যিনি দেশের বৃহত্তম ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে জাসদ ছাত্রলীগের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও সময়ের পরিক্রমায় হয়ে উঠেছেন দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিক। মিষ্টভাষী শফিকুর রহমানের অমায়িক ব্যবহার, স্পষ্ট বক্তব্য, নেতৃত্বের দক্ষতা, সর্বোপরি সামাজিক ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। গত ৫ আগস্ট নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছে ডা. শফিকুর রহমানের নাম।

কালবেলার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিকের জাসদ ছাত্রলীগ থেকে দেশের বৃহৎ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের কান্ডারি হয়ে ওঠার গল্প।

আরও পড়ুনঃ  একই ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যেদিন দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, সেদিনই আলোচনায় আসেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও তার নাম উচ্চারণের মধ্য দিয়ে নতুন করে সামনে আসেন ডাক্তার শফিকুর রহমান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন থেকে শুরু করে মন্দিরসহ সংখ্যালগুদের ঘরবাড়ি পাহারা, সব কাজে সামনের সারিতে দেখা যায় জামায়াতকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্থ সহযোগিতা এবং সবশেষ বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জামায়াত আমিরের বক্তব্য মন জয় করেছে নেটিজেনদের। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের বাসায় মেহমান হয়ে এসেছি।’

আরও পড়ুনঃ  সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ শিবিবের

বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানের পরপরই জামায়াত নেতার ঘোষণা- ‘প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা’। বৈষম্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু শব্দের কবর রচনা হোক, আমাদের পরিচয় হোক বাংলাদেশি।’

তার স্ত্রী পরবর্তীতে অষ্টম জাতীয় সংসদের সদস্য হন। দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা ডা. শফিকুর রহমান। দুই মেয়েই জড়িত চিকিৎসা পেশায়। একমাত্র ছেলেও পড়ছেন এমবিবিএস শেষ বর্ষে।

আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান কেবল রাজনীতিকই নন, তিনি একজন সমাজসেবক, সংগঠক, এমনকি সফল উদ্যোক্তাও। সিলেটেই একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ‘শেখ পরিবারের কারো আর রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই’

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা সেমিনারে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তার স্ত্রী পরবর্তীতে অষ্টম জাতীয় সংসদের সদস্য হন। দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা ডা. শফিকুর রহমান। দুই মেয়েই জড়িত চিকিৎসা পেশায়। একমাত্র ছেলেও পড়ছেন এমবিবিএস শেষ বর্ষে।

আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান কেবল রাজনীতিকই নন, তিনি একজন সমাজসেবক, সংগঠক, এমনকি সফল উদ্যোক্তাও। সিলেটেই একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা সেমিনারে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ