দীর্ঘ ১১ বছর পর ঝিনাইদহে জামায়াত কর্মী আব্দুস সালাম হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে নিহতের শ্বশুর কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আ.লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু, সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকি সমী, ঝিনাইদহ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি আনার গুম মামলার আসামি সাইদুল করিম মিন্টু, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেএম রশিদুল আলম রশিদসহ আ.লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারের কটূক্তি ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ঝিনাইদহ শহরে ওলামা-মাশায়েখদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর ঘুরে নতুন হাটখোলা সড়কে পৌঁছলে পুলিশের সামনে আ.লীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে থাকা ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক জামায়াত কর্মী আব্দুস সালামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর লাশের পোস্টমর্টেম, জানাজা এমনকি ঝিনাইদহে লাশ দাফন করতে দেয়নি আসামিরা।
নিহতের শ্বশুর আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিহত আব্দুস সালামের দুই শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আব্দুল্লাহ আল নাবিক বাবাকে হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে। পরে তার বিধবা কন্যা তানিয়া খাতুনকে বগুড়ায় বিয়ে দেওয়া হয়। তখনকার সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো তার দুই সন্তান বয়ে বেড়াচ্ছে।
মামলার বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, হত্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।