Saturday, June 28, 2025

হাসিনাকে ধরে এনে গণহত্যার বিচার করতে হবে : মামুনুল হক

আরও পড়ুন

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ১৬ বছর আমাদের বুকে চেপে বসেছিল এক জালিম শাহি। তাদের অবস্থা দেখে মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল এদের হয়তো আর নামানো সম্ভব না।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের হাবিবপুর ঈদগাঁ ময়দানে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। তাকে ধরে আনতে হবে। সকল হত্যা ও গণহত্যার বিচার আমাদের আদায় করতে হবে। আমরা বলেছিলাম ভাস্কর্য করার দরকার নেই, আপনার পিতাকে আর জাতির সামনে অপমানিত করবেন না। একথা বলায় আমাকে গ্রেপ্তার করলেন, জাতীয় সংসদে আমাকে নিয়ে আক্রমণ করলেন, আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান লেলিয়ে দিলেন। আমাদের কথা সেদিন মানলে আজ সারা দেশে এই লাঞ্ছনা তাদের বরণ করতে হতো না।

আরও পড়ুনঃ  গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে যা বললেন রাজনৈতিক দলের নেতারা

তিনি আরও বলেন, আমি আজকে আমাদের প্রিয় ভাই মাওলানা ইকবাল সাহেবকে স্মরণ করছি। তার মৃত্যু আমাকে এত বেশি মর্মাহত করেছে। এটি আমার কারাজীবনের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ছিল। আমি সোনারগাঁ থানা ও বন্দর, গজরিয়া, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যাদের অত্যাচার, অবিচার অতিরিক্ত ছিল তাদের জন্য আল্লাহর রাসুল বলেছেন, কোনো ক্ষমা নেই। সোনারগাঁয়ে শত শত মানুষের ওপর নিপীড়নের জন্য চিহ্নিত কিছু মানুষ দায়ী। তাদের তালিকা করে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, এদেশের মানুষের সাথে কাজ করতে হলে তাদের হৃদয়ের আবেগ বুঝতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করে হয়তো ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দিল্লিতে বসে কেউ যদি স্বপ্ন দেখে শাহজালালের বাংলাদেশকে কেউ নরেন্দ্র মোদির স্বার্থের বলি বানাবে। আমরা বলতে চাই রক্ত দিয়ে যেভাবে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়ার পরেও ফ্যাসিবাদের জায়গা বাংলাদেশে হয়নি, বাংলাদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবে না।

আরও পড়ুনঃ  নিজ এলাকায় হামলার শিকার হান্নান মাসুদ, বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ

মামুনুল হক আরও বলেন, এ সংগ্রাম জুলাই থেকে শুরু হলো। আগস্টে এসে এটা সফলতায় পরিণত হলো। কিন্তু এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ সংগ্রামে অনেক ভাইয়ের রক্ত রয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ২০২১ সালে মোদির মতো নরঘাতককে নিয়ে হেফাজত প্রতিবাদ জানিয়েছিল, এই অপরাধে পাখির মতো গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করেছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও দেখেছেন গোটা দেশের মানুষকে জিম্মি করে দিল্লির সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  শহীদ পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার আহ্বান জামায়াতের

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সোনারগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ও ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের সোনারগাঁ শাখার মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন, খেলাফত মজলিশের সোনারগাঁ শাখার সভাপতি হাফেজ ক্বারি আব্দুল আওয়াল প্রমুখ। পথসভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ