Saturday, June 28, 2025

বন্ধুরা ক্লাসে, আর আমি শরীরে বুলেট নিয়ে কাতরাচ্ছি

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে আহত হয়ে কাতরাচ্ছে একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. রিদোয়ান হোসেন (১৯)। তিনি বলেন, আমার বন্ধুরা ক্লাস করছে। আর আমি শরীরে বুলেট নিয়ে কাতরাচ্ছি।

গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে যুবলীগ- ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এত গুলিবিদ্ধ হয় রিদোয়ান। তার শরীর থেকে এখনো সব গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। একমাত্র ছেলের এ অবস্থায় দিশেহারা দিনমজুর বাবা। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করানোরও সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ 

আহত মো. রিদোয়ান হোসেন ফেনী সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের (চট্টগ্রাম সমাজের) হাসান হুজুর বাড়ির দিনমজুর মো. ইব্রাহিমের ছেলে।

জানা যায়, ৪ আগস্ট বন্ধুদের সঙ্গে ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন রিদোয়ান। ফ্লাইওভারের পশ্চিম অংশে হিরা কনফেকশনারির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে জোহরের নামাজ পড়া শেষ হতে না হতেই গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুলিবিদ্ধ রিদোয়ানকে সহপাঠীরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবার। রিদোয়ানের শরীর থেকে এখনো সব গুলি বের করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  আপত্তিকর অবস্থায় নারীসহ এসআই আটক

রিদোয়ানের বাবা মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘আমার ৪ মেয়ে, ১ ছেলে। আমি একজন অসহায় বাবা। আমার একমাত্র ছেলে ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে যায়। সেখানে সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে আজ সে বিছানায় কষ্টে দিন পার করছে।

তিনি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শে রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে এক্সরে করা হয়েছে। তার শরীরে এখনো ঠিক কয়টা বুলেট শরীরে আছে রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।

রিদোয়ান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা আমার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  নাটোরে প্রাণ অ্যাগ্রো কারখানা বন্ধ ঘোষণা

সর্বশেষ সংবাদ