Saturday, June 21, 2025

অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলেন হাবিব, অতঃপর…

আরও পড়ুন

আহাসান হাবিব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাকরি করতেন। পাশাপাশি চকরিয়ার সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করতেন। চাকরির সুবাদে কক্সবাজার শহরে থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গভীর রাতে গলায় গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে তার।

মা হাছিনা বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কক্সজারের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছিল বলে শুনেছি। এ সময় আমাদের কাছে খবর আসে বাসায় ফেরার পথে আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্মরত ডাক্তাররা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে পাঠান। চট্টগ্রামে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে হাবিব মারা যায়। পরদিন শুক্রবার তাকে দাফন করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘লেডি ডন’ তামান্নার যত অপকর্ম

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের সময় গলার নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন হাবিব। নিহত আহাসান হবিবের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডে। তিনি হেলাল উদ্দিন দ্বিতীয় ছেলে।

হাবিবের ছোট বোন কলেজছাত্রী মাছুমা জন্নাত কালবেলাকে বলেন, আমার লেখা পড়ার খরচসহ ভাইয়ের চাকরির টাকায় কোনো রকম সংসার চলত।

মা হাছিনা বেগম বলেন, হাবিব চকরিয়া সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি সংসারের ঘানি টানতে বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করত সে।

আরও পড়ুনঃ  মেসেঞ্জারে বড় ভাই না ডাকায় ভেঙে ফেলল মাথার খুলি

স্থানীয় ফাসিয়াখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন জানান, আহসান হাবিব ছিল ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চকরিয়া সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবা সামান্য একজন তরকারি দোকানি। নিজের পড়াশোনা ও সংসারে সাহায্য করার জন্য সে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করে। তার এই মৃত্যুতে পরিবারে বড় সমস্যা হয়েছে।

এদিকে নিহত আহাসান হাবিবের পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তাসহ ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেন হাবিবের পিতা-মাতা ও স্বজনদের হাতে।

আরও পড়ুনঃ  অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত টিউলিপকে সমর্থন দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সর্বশেষ সংবাদ