Saturday, June 28, 2025

নারীর সঙ্গে ছাত্রদলের নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

আরও পড়ুন

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সৈকত সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম পলাশের সঙ্গে এক নারীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ছাত্রদলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে কে বা কারা ভিডিওটি ছড়িয়েছে সে বিষয়ে কিছুই নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানা যায়, গত ২৩ মার্চ (রোববার) দুপুরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির সৈকত সরকারি কলেজসহ নোয়াখালীর ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেন। এতে শফিকুল ইসলাম পলাশকে আহ্বায়ক করে ২৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর নতুন কমিটির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারীর সঙ্গে শফিকুল ইসলাম পলাশ একটি কক্ষে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে লিপ্ত আছেন। ওই কক্ষের পার্শ্ববর্তী থেকে ভিডিও টি ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮

ফাতেমা বেগম কাজল নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি যুক্ত করে তার স্ট্যাটাসে লিখেন, আপডেট অনুযায়ী লিংকটা দিলাম। তবে হালকা দিলাম। আরো কঠিন ভিডিও আছে। কয়েকদিন আগে লিজা নামের এক মেয়েসহ ধরা খায় খাসেরহাট বাজারে। মেয়েটি সৈকত সরকারি কলেজ স্কাউটের সদস্য ছিল। পলাশও স্কাউটের একজন সক্রিয় সদস্যা, এবং গ্রুপ লিডার, সেই এই পদবি ব্যবহার করে সৈকত কলেজে মেয়েদের সঙ্গে বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে এবং ইভটিজিং, মাদকসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তারপর এ ছেলেকে সূবর্ণচরের ঐতিহ্যবাহী সৈকত সরকারি কলেজের আহ্বায়ক কীভাবে করে, আপনারাই বলেন?? খাসেরহাট বাজারে সব হোটেল এবং ফুড কর্নারে সে মেয়েদেরকে নিয়ে গিয়ে অপকর্ম করে থাকে। কোনো ব্যবসায়ী তাকে নিষেধ করলে মামলা হামলার ভয় দেখায় পলাশ। এই পলাশের কারণে সেকত কলেজে আমার বোনরা সবসময় আতঙ্কিত থাকে, এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনা হোক।

আরও পড়ুনঃ  হাসনাত-সারজিসকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

আবির আহমেদ জনি নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, সূবর্ণচরে ছাত্রদল নেতাদের চরিত্র এতে বাজে কেন। এদের হাতে তো কেউ নিরাপদ নয়, আর ওর মতো ছেলে একটা কলেজের আহ্বায়ক হয় কীভাবে বুঝি না।

এদিকে ভিডিওটি ২০২১ সালের উল্লেখ করে শফিকুল ইসলাম পলাশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে ছাত্রদলের আহ্বায়ক না করতে ভিডিওটি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পাঠিয়েছে একটি চক্র। তারা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চায়। কিন্তু আমার ত্যাগ বিবেচনায় আমাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি ভিডিওটির বিষয়ে ১৫ মিনিটের ফেসবুক লাইভ করেছি। মানুষ আমার সঙ্গে আছে। এছাড়াও চরজব্বর থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

আরও পড়ুনঃ  দুপক্ষের মারামারি, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির মৃত্যু

এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম চরজব্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে আইনের সহায়তা চেয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

সর্বশেষ সংবাদ