তৃতীয়বারের মতো তেল আবিবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস আবারও বিতর্কিত ইফতার আয়োজন করেছে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের সিনিয়র কর্মকর্তা,সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। পবিত্র রমজান মাসে মাগরিব আজানের সময় মুসলমানদের জন্য ইফতার হলো রোজা ভাঙার পবিত্রতম খাবার।
অথচ এই অনুষ্ঠানে কনিসেটের স্পিকার আমির ওহানা, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উপদেষ্টা তজাচি হানেগবি এবং আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কয়েক দিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুলতান আল নেয়াদির আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত অংশ নেন।
ইসরায়েলের গণহত্যা, লেবানন ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা এবং গাজায় প্রায় আড়াই মিলিয়ন ফিলিস্তিনির না খেয়ে থাকার মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যার নিন্দা জানিয়েছে নেট নাগরিকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে। একজন নেটেজেন লিখেছেন, আমিরাত ঘৃণ্যতম কাজ করেছে।
সাদিক ইব্রাহিম নামে একজন লিখেছেন, এই ধরনের বাটপারদের থেকে এর থেকে ভালো আমরা কি আশা করতে পারি? আরেকজন লিখেছেন আমিরাত শুধু ফিলিস্তিনিদের সাথে প্রতারণাই করেনি বরং পুরো মুসলিম উম্মাহকে অপমান করেছে।