খুলনায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী পলাশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে পলাশ বাহিনীর প্রধান পলাশসহ ১১ জনকে। এসময় কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর বানরগাতী আরামবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) মো. আজম খান জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁরা তথ্য পায় সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাতি এলাকায় গাড়িচালক মো. আব্দুর রহমান গাজীর বাড়িতে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। এ সময় তাঁরা ও যৌথবাহিনী মিলে অভিযান পরিচালনা করলে সন্ত্রাসীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পাল্টা গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ১১ জনকে।
আজম খান বলেন, অভিযানে তিন পুলিশসদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। আজ রোববার এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
আটককৃতরা হলেন, পলাশ বাহিনীর প্রধান নগরীর মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নান শেখের ছেলে শেখ পলাশ, ডালমিল রোড এলাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে রুবেল ওরফে কালা লাভলু, বানরগাতি এলাকার আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে সৈকত রহমান, একই এলাকার আশরাফ আলী সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলাম, মো. রমিজুল হাওলাদারের ছেলে গোলাম রব্বানী, বটিয়াঘাটা সুরখালি এলাকার মো. আহমদ খা’র ছেলে মো. আরিফুল, মুসলমানপাড়া এলাকার মৃত শরীফ মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ, বাগমারা মেইন রোড এলাকার মাসুদ আলম জয়নালের ছেলে ইমরানুজ্জামান, নিরালা এলাকার মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে ইমরান, পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার রাজ্জাকের ছেলে রিপন ও রূপসা বাগমারা এলাকার ইজাজ শেখের ছেলে ফজলে রাব্বি রাজন।
আজম খান জানান, উদ্ধার হওয়ার অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি পিস্তল, একটি একনলা শর্টগান, একটি করে কাটা বন্দুক, চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি। উদ্ধার করা হয়েছে কয়েক রাউন্ড গুলি। এছাড়াও সাতটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আটক শেখ পলাশ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে খুলনা জেলায়। পলাশ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণাও করেছিল পুলিশ।