গণহত্যাকারী হাসিনার দোসর আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়াকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ব্যাপক বিতর্কের মুখে অবশেষে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলভিয়াসহ চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সিলভিয়া বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কের মুখে তার নিয়োগ ওইদিনই বাতিল করা হয়।
বৃহস্পতিবার চার প্রসিকিউটরের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর সিলভিয়ার নিয়োগ নিয়ে ফেইসবুকে সমালোচনা করেন অনেক আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর’ হিসেবে কাজ করার অভিযোগ আনেন তারা। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতাদের সঙ্গে তার বেশ কয়েকটি ছবিও ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়।
পরে আইন মন্ত্রণালয় তার নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।নিয়োগ পাওয়া অন্য তিন প্রসিকিউটর হলেন মো মামুনুর রশীদ, আবদুস সাত্তার ও এস এম তাসমিরুল ইসলাম।
প্রবাসী সাংবাদিক ড. কনক সরোয়ার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে সমালোচনা করে লিখেছেন, পলাতক হাসিনার কাছে ট্রাইব্যুনালের সব গোপন তথ্য পাঠাতে আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগ…?!অনেক যাচাই-বাছাই করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রমের গোপন খবর, সাক্ষ্যপ্রমাণ, সাক্ষীদের তথ্য পলাতক হাসিনা এবং আওয়ামী অপরাধীদের কাছে সহজে এবং সুলভে পৌঁছে দিতে হাসিনা মনোনীত;আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সমর্থিত এক নারী আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে?
দীর্ঘ সরকারি ছুটির আগে আগে গতকাল ২৭ মার্চ নতুন চারজন প্রসিকিউটর নিয়োগ হয়েছে ।তালিকায় ১ নম্বর সহকারী প্রসিকিউটর আফরোজ পারভিন সিলভিয়া বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু আইন গবেষণা কেন্দ্রের বিশিষ্ট নেত্রী! এমনিতেই গত ৮ মাসে বিচারের নামে ট্রাইব্যুনাল চলছে হামাগুড়ি দিয়ে এখন কি হবে তা বলাই বাহুল্য…!!!
মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম লিখেছেন, খুবই দুঃখ জনক তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।।। এই জন্যই তো সকল গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। যেটা চিফ প্রসিউকিটর জনাব তাজুল স্যার সেটাই বলছিলেন। জনাব আসিফ নজরুল এর পদত্যাগ দাবি জানাচ্ছি। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই জনাব কনক সরোয়ার স্যারকে।। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।