Monday, August 18, 2025

ভিডিও ভাইরাল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাইদুর-এলমার পদ স্থগিত

আরও পড়ুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মদের বোতল’ হাতে ভিডিও ভাইরালের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে পদ স্থগিতের বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জামা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ শাখার সদস্যসচিব ও মুখপাত্রের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এর পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ  মাদারীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত,

১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ‘ব্যাগ হাতে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি রেখে খাটের ওপর বসেন।

ওই খাটে শুয়ে ছিলেন জেলার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান। পরে মদের বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন।’
সদস্যসচিব সাইদুর রহমান বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবরে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধি আমাদের ডেকেছিলেন। তখন আমরা ঢাকা গিয়েছিলাম।

আপুর হাতে কিসের বোতল ছিল সেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি। কেউ শত্রুতাবশত এ কাজটি করেছে।’

আরও পড়ুনঃ  সেই ছাত্রদল নেতার সব পদ কেড়ে নেওয়া হলো

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরালের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওই কক্ষে আরো অনেকে ছিল।

তাদের মধ্যেই কেউ একজন ভিডিওটি করেছে এবং ছড়িয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সুজনের জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ভিডিওটি যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এটি খুবই দুঃখজনক। তাদের কাছ থেকে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না।’

আরও পড়ুনঃ  জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মারা যাওয়া আরমানের ছেলে-মেয়ের ঠাঁই হলো এতিমখানায়

২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৎকালীন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এই কমিটির অনুমোদন করেন। ছয় মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু হুরাইরাকে আহ্বায়ক ও কেসি কলেজের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমানকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও সাজেদুর রহমানকে মুখ্য সংগঠক এবং ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী এলমা খাতুনকে মুখপাত্র করা হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ