নড়াইলের লোহাগড়ায় আজাদ শেখ (২২) নামে এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব ও ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নড়াইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে লোহাগড়া পৌরসভার কচুবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজাদ শেখ লোহাগড়ার কচুবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে।
এলাকা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়ার এড়েন্দা পূর্ব পাড়ায় মাদক ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায় নড়াইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী রবিউলের ঘর থেকে নয় পিস ইয়াবা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে রবিউল ইসলামকে না পেয়ে তাৎক্ষণিক আজাদ শেখ নামে এক যুবককে আটক করে। আটকের পরে আজাদ শেখকে নিয়ে তার নিজ বাড়ি লোহাগড়া পৌরসভার কচুবাড়িয়া অভিযান চালায়। অভিযানে বাড়ির লোকের কোনো অনুমতি ছাড়ায় প্রবেশ করেন তার নিজ ঘরে। পরে তার স্ত্রী আরিফা বেগম তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। এ সময় তার স্বামীকে ছেড়ে দেবে বলে স্ত্রীকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব ও টাকা দাবি করেন উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল আলম। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার স্বামী আজাদ শেখকে নিয়ে চলে যায়। এরপর লোহাগড়া থানায় উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল আলম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আজাদ শেখকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ভুক্তভোগীর বাবা রেজাউল শেখ জানান, ‘আমি পেশায় একজন ভ্যানচালক। ভ্যান চালিয়ে আমার সংসার চালাতে হয়। আমার ছেলে আজাদ শেখকে অন্য একটি বাড়ি থেকে ধরে এনে আমার বাড়িতে এনে তল্লাশি চালানো হয়। আমার বাড়ি থেকে কোনো ধরনের মাদক পাওয়া যায়নি। আর কোনো অনুমতি ছাড়াই তারা আমার দুটি রুম ও গোয়ালঘরে ঢুকে তল্লাশির নামে ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করেছে। সেই সঙ্গে ঘরে থাকা চার হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা। এর কিছুদিন আগেও এই টিম আমাদের বাড়িতে এসে একইভাবে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করেছিল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
আজাদ শেখের স্ত্রী আরিফা বেগম জানান, বাচ্চাকে দুধ খাওয়ার সময় অনুমতি ছাড়াই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম। এ সময় তিনি বলেন আপনার স্বামী ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। তখন তিনি বলেন, আপনার স্বামীকে আমরা ছেড়ে দিবো। যদি আপনি কুপ্রস্তাবে রাজি থাকেন। আমি কুপ্রস্তাব ও টাকা দিতে রাজি না হলে একপর্যায়ে তারা আমার স্বামীকে নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে নড়াইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল আলম জানান, আমিসহ আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমরা শুধু অভিযান চালিয়েছি এর বাইরে কিছু না।
আরএ