Monday, August 18, 2025

সাত বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

আরও পড়ুন

রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের শিশু ধর্ষণ মামালায় গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপীর আদালত এ রায় দেন।

জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

রায় শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে। ধর্ষকের কোনো ছাড় নেই। সব ধর্ষকের আরও কঠিন সাজা হওয়া উচিত। যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহস না পায়।

আরও পড়ুনঃ  বন্যা ষড়যন্ত্র কি না তদন্ত করবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

তবে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর মা-বাবা বাসাসংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন। পরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান।

আরও পড়ুনঃ  ‘ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে ১০ দিনেও বাড়ি ফেরেনি স্কুলছাত্র ইয়াসতিক

পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন।

২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ