Thursday, June 26, 2025

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন নাহিদ ইসলাম

আরও পড়ুন

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে অবস্থান নিলেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিলেও এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ চান না।

“আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, এটা আমরা চাই না। দলটির ভেতরে যারা অন্যায় কাজে জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে,”—সোমবার (১৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

সাক্ষাৎকারে তিনি নতুন দলের চ্যালেঞ্জ, নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কথা বলেন।

এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “একটি সরকারকে ভেতর ও বাইরে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন বাংলাদেশের জন্য সময়টি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এটি আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতা ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “সময়ের চাহিদার প্রতি সাড়া দিয়ে আমি পদত্যাগ করেছি এবং মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি। এখন এই অভিজ্ঞতাকে আমি আমার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক যাত্রায় কাজে লাগাব—বিশেষ করে যখন সামনের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে। একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হলেও, আমি এই পথ পাড়ি দিতে প্রস্তুত।”

আরও পড়ুনঃ  'বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ওয়াইফাই দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ'

নিজ দলের বিষয়ে তিনি বলেন, “এনসিপি একটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল, এবং আমরা এই আদর্শ ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য তরুণ এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা, যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত রাজনীতির বাইরে ছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি। নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং ক্ষমতার কাঠামোতে পরিবর্তন আনাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এ জন্য আমরা বিভিন্ন ধারণা পর্যালোচনা করছি এবং মতামত নিচ্ছি।”

আরও পড়ুনঃ  একই ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো পূর্ববর্তী সরকারের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা, দেশে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা এবং গণপরিষদ গঠন করা। আমরা সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে, যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন আর ফিরে আসতে না পারে। তাই নির্বাচন আমাদের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নয়, এবং এ বিষয়ে আমরা এখনই কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দিচ্ছি না।”

সর্বশেষ সংবাদ