Wednesday, August 13, 2025

গাজীপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

আরও পড়ুন

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে দৃশ্য নিজের মোবাইলে ধারণ করে এক যুবক। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পাশাপাশি মো. আরমান মিয়া (২৭) নামের ওই যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

অভিযুক্ত আরমান মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের মো. শামসুল হকের ছেলে। আর নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর (৮) বাড়ি উপজেলার বরমী ইউনিয়নে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের শালবনের ভেতর থেকে আরমান মিয়াসহ ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ওই যুবক ইয়াবা সেবন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে

কয়েক বছর ধরে ঘটনাস্থলের পাশে মাঝেরটেক এলাকায় বন বিভাগের জমিতে কুঁড়েঘর বানিয়ে বসবাস করছে আরমান। সেখানে থেকে বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ করে।

নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা জানান, দুপুর থেকেই তার মেয়েকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় বনের ভেতর চিৎকারের শব্দ শুনে সেদিকে এগিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে বনের ভেতর নির্জন স্থানে হাতেনাতে আটক করা হয় আরমানকে। আটকের পর শিশুটি জানায়, তাকে ধর্ষণ করে সে দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছে। পরে আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে তার তিন বন্ধুর মোবাইলে পাঠিয়েছে। এরপর তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ৩১শে ডিসেম্বর ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন’ ঘোষণা

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামীম আখতার বলেন, আরমানকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ