ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত তার আইনজীবীকে বলেন, যেদিন কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়, সেদিন ফজরের আগেই ঘুম ভাঙানো হয়। এরপর ভোরে আদালতের উদ্দেশ্যে আনা হয়। খুব কষ্টে আছি আমি।
বুধবার (০৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে তাকে কারাগার থেকে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বিচারক।
এদিন সৈকতকে আদালতে তোলা হলে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তরিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় সৈকত বলেন, ‘কারাগারে অনেক লোক গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এদিকে মশার কামড়ে ঠিকমতো ঘুম হয় না। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও হচ্ছে না। আবার যেদিন কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়, সেদিন ফজরের আগেই ঘুম ভাঙানো হয়। এরপর ভোরে আদালতের উদ্দেশ্যে আনা হয়। খুব কষ্টে আছি আমি।’
সৈকতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, একেরপর এক হত্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে তানভীর হাসান সৈকতকে। এগুলো ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়।