Friday, June 27, 2025

বিএসএমএমইউর আওয়ামীপন্থি ডাক্তার-নার্সদের বিরুদ্ধে মামলা

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএসএমএমইউর আওয়ামীপন্থি ডাক্তার-নার্সদের বিরুদ্ধে ডিএমপির শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মুনজুর বলেন, গত ৪ আগস্ট ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শাহবাগ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছিলেন। সেসময়ে বিএসএমএমইউর ভেতরে ও ১নং গেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত স্বাচিপসহ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা স্লোগান দিলে প্রশাসনিক ভবনের ভেতর থেকে এবং ছাদের ওপর থেকে ২৫-৩০ জন ডাক্তার, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও ভারী বস্তু নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে অনেক আন্দোলনকারী মারাত্মক জখম হন, যা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ তারেকসহ বিএনপির তিন নেতাকে আমন্ত্রণ

বিবাদীরা ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করে প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাখা হাসপাতালের গাড়ি ও সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে চিহ্নিত। ঘটনার দিন আরও দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০/৩৫টি গাড়ি, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। এছাড়াও কেবিন ব্লকের সামনেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। এখনো ক্যাম্পাসের ভেতরে পোড়া বাস দেখলে বোঝা যায় ওই দিন কি বীভৎস অবস্থা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  শাপলা চত্বরে নিহত ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ!

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লক এলাকায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায়, মো. সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল) ও সুইপার সন্দীপ।

আরও পড়ুনঃ  স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি, নাহলে বৃহৎ কর্মসূচি

এছাড়াও এ তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জল মোল্লা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, বহির্বিভাগে (ওপিডি-১) এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা।

সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় আরও রয়েছেন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মুন্না আহমেদ এবং ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন।

সর্বশেষ সংবাদ