Friday, January 10, 2025

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়েরুল ইসলামকে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেখা গেলেও পুলিশ আসামি ধরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) দীর্ঘদিন পলাতক থাকা জোবায়েরুল ইসলামকে আনোয়ারায় একটি স্পটে দেখে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করতে চাইলেও পুলিশ সহায়তায় এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিকভাবে আনোয়ারা থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার ওসি জানায়, এটি তাদের দায়িত্ব নয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার অন্যতম স্বাক্ষী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, কবি জসিম উদ্দিন হলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়েরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা রয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তাকে দেখতে পান আমাদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু শিক্ষার্থী। মব জাস্টিসকে এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে মোহতাছিম বিল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী আনোয়ারা থানার ওসিকে কল দিলে তিনি আসামি ধরতে অস্বকৃতি জানান। ওসি তখন বলেন, এসব আসামি ধরা আমার দায়িত্ব না, এটা শাহবাগ থানার মামলা, আমি ফোর্স পাঠাতে পারবো না, এই বলে সে স্পটে আসলো না, যার ফলে আসামিকে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হক

আজিজুর রহমান রিজভী জানান, আমি যখন ওসিকে কল দিয়ে এসব বলি তখন ওসি আমাকে বলেন ‘ছাত্রলীগ ধরা আমার দায়িত্ব না’, আপনার যা ইচ্ছা করেন, আপনি উপরের লেভেলে জানান, অভিযোগ করলে করেন, আমার কিচ্ছু করার নাই। সমন্বয়ক হলেই কি আপনার কথা শুনতে হবে।

তিনি আরও জানান, অন্য থানাধীন হলে মামলা রুজুকৃত থানা থেকে Inquiry Slip লাগে, কিন্তু সেটা আসামি আটক করার পরও নেওয়া যায়, এবং শাহবাগ থানা এ ব্যাপারে কো-অপারেট করে, কিন্তু ইনস্ট্যান্ট আসামি ধরলে, আমি কি Inquiry slip পর্যন্ত অপেক্ষা করবো? তাকে Detain করে, সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করলেই কাজ শেষ, এভাবেই ১০-১৫ জন আসামি ধরা হইছে।

আরও পড়ুনঃ  সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইতে র‌্যাপার হান্নান ও সেজানের কথা

এই বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এই আসামীর মামলাটি শাহবাগ থানায়। শাহবাগ থানা থেকে আমাকে কোন রিকুজিশেন পাঠায়নি। তাই আমাকে কল দেওয়ার পর আমি বলেছি। এই মামলার অফিসার আমাকে জানায়নি তাই আসামী ধরতে পারবো না।

‘ছাত্রলীগ ধরা আমার দায়িত্ব না’ এমন প্রশ্ন করা হলে ওসি তা এড়িয়ে গিয়ে জানান, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমার উধ্বতন কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  রাবি ছাত্রদলের দুই নেতাকে অব্যাহতি

এ বিষয়ে আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা এমন কথা কখনো বলতে পারেন না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। যদি বলে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, অন্য থানার মামলার আসামী ধরতে হলে ঐ মামলার দায়িত্বরত অফিসার আমাদের রিকুজিশেন পাঠায় তারপর আমরা আসামী ধরি। কিন্তু এই মামলায় এমন কোন স্লিপ আমরা পায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ