Saturday, June 28, 2025

তাহসানের শ্বশুর ক্রসফায়ারে নিহত যুবলীগ নেতা ‘পানামা ফারুক

আরও পড়ুন

দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ে নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

শনিবার সন্ধ্যায় রোজার সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বিয়ের গুঞ্জনে আনুষ্ঠানিক সীলমোহর দিয়েছেন তাহসান। যদিও তাদের বিয়ে, পরিচয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্যে দেননি দু’জনের কেউই।

এরই মধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে আরও একটি খবর। দাবি করা হচ্ছে, মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বাবা হচ্ছেন ২০১৪ সালে বরিশালে ক্রসফায়ারে নিহত যুবলীগ নেতা ফারুক আহমেদ ওরফে ‘পানামা ফারুক’।

আরও পড়ুনঃ  মোশতাকও বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়েছিলেন, জিয়া ফের টাঙিয়েছিলেন : রিজভী

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রোজার একাধিক সহপাঠী, বন্ধু ও এলাকাবাসী।

তারা জানান, ‘পানামা ফারুক’-এর মেয়ে হচ্ছেন রোজা। প্রায় ৫ বছর আগেই যুক্তরাষ্ট্র চলে যান তিনি। এরপর থেকে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এর মধ্যেই শনিবার সকালে তাহসানের সঙ্গে তার বিয়ের খবর জানতে পারলাম।

এ বিষয়ে ফারুক আহমেদের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে, রোজা ও তাহসানের বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।

জানা গেছে, তাহসান খানের শ্বশুর ফারুক আহমেদ বরিশাল নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা। বাজার রোডে মেসার্স পানামা ট্রেডার্স নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে শুরু করলেও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি যুবলীগে যোগ দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর অনুসারী হয়ে শুরু করেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। সেই থেকে ‘পানামা ফারুক’ নামে তার পরিচিতি পান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর মদদে বরিশাল নগরীতে যে আট খলিফা নামে সন্ত্রাসী বাহিনীর জন্ম হয় তার একটির নেতৃত্বে ছিল পানামা ফারুক। নগরীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধের জগৎ গড়ে তোলেন। চাঁদাবাজী, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে আধিপত্যের কেন্দ্রে চলে আসেন। নিহত হওয়ার আগে তার নামে অস্ত্র, হত্যা, চাঁদাবাজীর অভিযোগে দশটিরও বেশি মামলা ছিল থানায়। পানামা ফারুকের নেতৃত্বে বরিশাল প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছিল। তিনি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে প্রকাশ্যে নগরীতে মহড়া দিতেন।

আরও পড়ুনঃ  দুর্বল ৬ ব্যাংককে ১,৬৪০ কোটি টাকা দিলো সবল ৩ ব্যাংক

আট খলিফার মধ্যে পানামা ফারুক ছাড়াও মো. জসিমউদ্দিন ওরফে ভিপি জসিম, কুতুব রানা, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ওরফে মামা খোকন, আবুল বাসার, মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু, মোনায়েমের ছিল ভিন্ন ভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী।

সর্বশেষ সংবাদ