তিন দফা দাবিতে রাবির প্রশাসন ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি
পৌষ্য কোটা বাতিল, ফ্যাসিস্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং আবেদন ফি কমাতে না পারলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন।
পোস্টে সালাউদ্দিন আম্মার লেখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি ৫০০/৬০০/৭০০ টাকা। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০০ টাকার বেশি। আবেদন ফি বাণিজ্য একটি সফল ব্যবসা। যেটাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওস্তাদ। বিজয়ের পর এমন প্রশাসন দেখে লজ্জা লাগে। তারা শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। শুধু চেতনার কথা শোনায়।
পোস্টে তিনি ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন। সেগুলো হলো—
১. ফ্যাসিস্ট কার্যক্রমে জড়িত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তালিকা প্রকাশ করে মামলা ও শাস্তি দিতে হবে।
২. পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে। (শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন- এটা বাতিলের পূর্ণ এখতেয়ার রাখেন ভিসি)।
৩. প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিবাদে জড়িতদের নিয়োগ এবং সিন্ডিকেট সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবির উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘এই মুহূর্তে মন্তব্য করার মতো কিছুই নেই। আমি রাজশাহীর বাইরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টা দেখবো।’
এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এক শিক্ষক ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের প্যানেলের একজনকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ফেসবুক পোস্টে তাদেরকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি প্রশাসনের নিয়োগ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে লেখেন, ‘যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে নাকি?’