Monday, August 18, 2025

নতুন বউ রেখে রোজগারের জন্য জাহাজে গিয়েছিলেন সজিবুল, ফিরলেন লাশ হয়ে

আরও পড়ুন

‘আমার মেঝ ছেলে সজিব। ৩ মাস হইছে তারে বিয়ে দিছি। সে কোর্স করছে, পরীক্ষা দিয়ে জাহাজের মাস্টার হবে। তার বেতন বাড়বি। মা-বাবা বউ নিয়ে সুখে থাকবে, কিন্তু তা আর হলো না।’

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আহাজারি করতে করতে কথাগুলো বললেন জাহাজে হতাহতের ঘটনায় নিহত সজিবুল মুন্সির বাবা দাউদ মুন্সী। গতকাল সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) চাঁদপুরে জাহাজে হতাহতের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে দুজন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার। তাঁদের একজন সজিবুল মুন্সি (২২)। অন্যজন হলেন—মাজেদুল ইসলাম (১৬)। দুজনই তিন-দুদিন সপ্তাহ আগে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা দেবরের

নিহত সজিবুল ইসলাম উপজেলার পলাশবাড়ীয়া গ্রামের দাউদ মুন্সির ছেলে। ১৭ দিন আগে জাহাজে গ্রিজারের দায়িত্ব পালনের জন্য কাজে যোগ দেন। ১৫ দিন কাজ করার পর তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিন মাস আগে বিয়ে করেন তিনি।

নিহত দুজনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের সমবেদনা জানাতে তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসছেন বাড়িতে।

সজিবুল মুন্সীর স্ত্রী প্রিয়া বলেন, ‘আমাদের নতুন বিয়ে হইছে। আমার স্বামী আমার মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিল। সে বলছিল পদোন্নতি হলে বেতন বাড়বে। আনন্দে থাকব। এখন ভবিষ্যৎ নিয়েই আমি দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। সামনে কী কবর জানি না।’

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হলে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাবে শিবির : শিমুল.

‘মা মাদ্রাসা বন্ধ দেছে, বসে না থাহে জাহাজে যাই, টাকা হবে’‘মা মাদ্রাসা বন্ধ দেছে, বসে না থাহে জাহাজে যাই, টাকা হবে’

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের খবর শোনার পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ