বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি সীমান্তের বাফার জোন দখলের পর হারমন পর্বতের সিরিয়ার অংশের দখল নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি নতুন গ্রাম দখল করে নিয়েছে তারা।
এবার দখল করা সেই হারমন পর্বতে সফর করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পর্বতের চূড়া থেকে একটি ভাষণও দেন। সেখানে তিনি এই স্থানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে সেখানে ‘থাকার প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছেন।
নেতানিয়াহু বলেন, দামেস্কের সঙ্গে ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে’ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী নতুন করে দখল করা সিরীয় ভূখণ্ডের মধ্যে একটি বাফার জোনে থাকবে।
অতীতের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমি ৫৩ বছর আগে এখানে একজন সৈনিক হিসেবে ছিলাম। জায়গা বদলায়নি, কিন্তু আমাদের নিরাপত্তার জন্য এর গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, ডিসেন্স ফোর্স-আইডিএফের চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. হারজি হালেভি এবং অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর বিশৃঙ্খলার মধ্যে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সেনা মোতায়েন করে ইসরায়েল।
প্রায় ২৫ বছর ধরে লৌহমুষ্টি নিয়ে সিরিয়া আকড়ে ধরে থাকা আসাদ গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিলে রাশিয়ায় পালিয়ে যান। হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) যোদ্ধারা দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্রুত আক্রমণে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে।
এ সুযোগে সিরিয়ার সাথে ১৯৭৪ সালের একটি চুক্তি ভেঙে গোলান মালভূমির অসামরিকীকৃত অঞ্চলে বাহিনী মোতায়েন করে ইসরেয়েল। এই পদক্ষেপে জাতিসংঘ এবং বেশ কয়েকটি আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে।