ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরি ১২ ডিসেম্বর আখাউড়া মাহফিলে পুলিশের ওপর হামলার পরে ১৩ ডিসেম্বর আখাউড়া থানায় এসআই বাবুল বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পরের দিন শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিজয়নগর উপজেলার নাজিরাবাড়ি গ্রামে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নামের একটি স্থানীয় সংগঠনের আয়োজনে আরেকটি মাহফিলের উপস্থিত হওয়ার কারণে সেখানে বিজয়নগর থানা পুলিশের প্রতিনিধি দল উপস্থিত হওয়ার পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে মাহফিল। এসময় গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে তার ভক্তরা পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সে বাড়ির পিছনের বিল দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে যান তাহেরি।
মাহফিলের উপস্থিত উত্তেজিত জনতা পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় এসআই ফারুক আহমেদ, এএসআই পদ্রীপ দাসসহ ছয়জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাঁধা ও পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপরাধে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার চর ইসলামপুর মধ্যপাড়ার মন মিয়ার ছেলে ওমর আলী (২৯), একেই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে হাকিম মিয়া (৩৭), মৃত আব্দুল কাশেমের ছেলে সেলিম মিয়া (২৪), নাজিরাবাড়ির রমজান মিয়ার ছেলে শাহানুর (৩৫), একেই গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া, ছতরপুর গ্রামের সেন্ট মিয়ার ছেলে মোশাররফ মিয়া।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশন আলী যুগান্তরকে জানান, উপজেলার নাজিরাবাড়িতে গিয়াস উদ্দিন তাহেরি অনুমতিহীন মাহফিল করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে উপস্থিত মানুষের মধ্যে তাহেরি গ্রেফতার আতঙ্কে কিছু জনতা উশৃংখল হয়ে পুলিশের ব্যবহৃত গাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
পুলিশের কাজে বাঁধা ও পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপরাধে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে।