Monday, August 18, 2025

‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিশেষ নজর’

আরও পড়ুন

সম্প্রতি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর দিকে বিশেষ নজর রাখবেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কঠিন হতে পারে। এমন সব মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ সাজিদ তারার। সেইসঙ্গে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন ট্রাম্প, এমনটিও জানান তিনি।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাজিদ তারার দেয়া এক সাক্ষাৎকারের বরাতে সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। প্রভাবশালী পাকিস্তানি-আমেরিকান ব্যবসায়ী সাজিদ তারার ‘মুসলিমস ফর ট্রাম্প’ নামে একটি সংগঠনের প্রধান, যারা ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের জন্য নিরন্তর প্রচারণা চালিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে

প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সাজিদ তারার আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৩১ বছরের ইতিহাসে এক অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করবেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর দিকে বিশেষ নজর রাখবেন তিনি। সাজিদ তারারের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্প সচেতন। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি ডেমোক্রেট প্রার্থী এবং ট্রাম্পের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে ইউনূস বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুনঃ  ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ট্রাম্প সমর্থক এ মার্কিন ব্যবসায়ী আরও জানিয়েছেন, ‘আসলে এখানে একটি ইতিহাস আছে যে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নির্বাচনি লড়াই করছিলেন, তখন তিনি (ড. ইউনূস) হিলারি ক্লিনটনকে সরাসরি সমর্থন করেছিলেন।’

এর আগে, ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ। অভিযোগ রয়েছে, তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং মন্দির ধ্বংসের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।

আরও পড়ুনঃ  পলকের সঙ্গেও ছিলেন, এখন বিএনপির সমাবেশেও আছেন

এ প্রসঙ্গে সাজিদ তারার বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করছেন। আমার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশকে কঠোর বার্তা দেবেন।’
তারারের মতে, ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসী উভয়ের জন্যই ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো শপথ নেননি; কিন্তু (বিশ্ব এরই মধ্যে) প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন। ভারত ছাড়া পুরো বিশ্ব এখন অস্বস্তিতে আছে। বিশ্ববাসী এখন একজন নেতাকে পেয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ