Monday, August 18, 2025

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ২ মাস

আরও পড়ুন

রাজধানীসহ সারা দেশে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

১৫ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ব্ধ সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ক্ষমতা প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়।

আরও জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
এর আগে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের।

আরও পড়ুনঃ  শিশু সন্তানের গলা কেটে করোতোয়ায় ফেললেন বাবা

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন সরকার।

এরপর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

বগুড়া সদরে অবৈধ ও ভেজাল সার তৈরির দায়ে একটি কারখানা সিলগালা ও মালামাল জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরের চারমাথা গোদারপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ও সরাসরি অংশগ্রহণে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদমান আকিফ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এনএসআইয়ের গোপন তথ্য ছিল গোদারপাড়া বাজার এলাকায় আবাসিক বাড়িতে ভেজাল সার তৈরি করা হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথবাহিনী দল ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানায় কর্মকর্তারা পালিয়ে যান। এ সময় দুজন শ্রমিক আটক হন।

অভিযানে কারখানা থেকে ভেজাল টিএসপি সার, কীটনাশক, বাসুডিন, ফুরাডিন, ফসফরাস, সালফার, জিংকসহ প্রায় ২০টিরও অধিক কোম্পানির মোড়কজাত করা ভেজাল সার ও সার তৈরির কাঁচামাল (মাটি, পাথর, চুনাপাথর, সিমেন্ট ও অন্যান্য কেমিক্যাল), সার তৈরির সরঞ্জামাদি ও বিভিন্ন কোম্পানির নকল মোড়ক ও লেভেল উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গৌতম ও সুলতান নামে দুজন ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সেখানে কারখানা পরিচালনা করছিলেন।

অভিযান শেষে বগুড়ার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ কারখানাটি সিলগালা করেন। আর উদ্ধারকৃত মালামাল সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে এম মুনছুর রহমানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, আটক হওয়া ২ জন শ্রমিক। তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর কারখানাটি সিলগালা অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে মামলা এখনও হয়নি। তবে মামলার প্রস্ততি চলছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এ কারখানা গৌতম ও সুলতান নামে দুই ব্যক্তি চালাতো। তারা অবৈধ সার ব্যবসা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ