Friday, March 21, 2025

সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক, এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই: নাহিদ

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবিসি হিন্দিকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ওই সাক্ষাতকারে তিনি সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি, তাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। সুতরাং এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। বরং ভারতের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে কথা বলা উচিত। এছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই–আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে তা এখনও স্পষ্ট করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। অথচ যার ওপরে এই ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ই'সরা'ইলকে স্বীকৃতি নয়, ফি'লি'স্তিনিদের পাশে থাকবে

নাহিদ বলেন, আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক, যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।

সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এ জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন নাহিদ ইসলামকে প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের পতন হওয়ায় বাংলাদেশে উগ্র সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়টি হলো আওয়ামী লীগ ও ভারতের একটি প্রোপাগান্ডা। তারা এসব বলে মানুষকে বোঝাত যে তারা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশে উগ্রবাদিতা বাড়বে।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের এই প্রোপাগান্ডাকে ভারতও সমর্থন দিয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণের বদলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ থাকা না থাকা নিয়ে তারা কথা তুলছে। তিনি বলেন, ভারতে বিজেপি না কংগ্রেস কে ক্ষমতায় আছে সেটি বাংলাদেশের মানুষ দেখে না।

আরও পড়ুনঃ  বয়সে বড় নারীকে বিয়ে করার সুবিধা

বিবিসির এই সাংবাদিক উপদেষ্টা নাহিদকে বাংলাদেশ-ভারতের রেল, নৌ ও সড়কের যৌথ প্রকল্পগুলো নিয়েও প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের দ্বারা বাংলাদেশের মানুষই উপকৃত হতো নাকি আওয়ামী লীগ হতো।

জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, বিষয়গুলো আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। দুই দেশ চাইলেই উন্নয়নমূলক করা করা সম্ভব। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে থাকা কোনো প্রকল্প বন্ধ করা হয়নি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।

তিনি আরও জানান, ভারতসহ অন্যান্য যেসব দেশের সঙ্গে প্রকল্প রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে এগুলোতে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা।

সর্বশেষ সংবাদ