রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি পঙ্গু হাসপাতালের সামনে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি কোনো সমাধানে আসতে পারেননি।
আরো পড়ুন
ফারুকীর কাছে যে প্রত্যাশা তমা মির্জার
ফারুকীর কাছে যে প্রত্যাশা তমা মির্জার
আন্দোলনকারীরা তখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। উত্তরে স্নিগ্ধ বলেন, ‘আমি শহীদ পরিবার থেকে আপনাদের কাছে এসেছি। এর চেয়ে কি উপদেষ্টারা বড় হয়ে গেল।
’ এ সময় আন্দোলনকারীরা বারবার বলতে থাকেন, উপদেষ্টাদের এখানে আসতে হবে।
পরে স্নিগ্ধ আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীরা স্নিগ্ধর কথা না শুনে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ।’
আরো পড়ুন
ভারতে কিভাবে কেটেছে শেখ হাসিনার ১০০ দিন
ভারতে কিভাবে কেটেছে শেখ হাসিনার ১০০ দিন
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে আহতদের পঙ্গু হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতায় অন্য গাড়িতে করে হাসপাতাল ছাড়েন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের টাকা ও সুচিকিৎসার দাবিতে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক বন্ধ করে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে আহতরা। তাদের দাবি, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হলেই সড়ক ছাড়বেন তারা। না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।