পোস্টে বলা হয়েছে, গত সোমবার (১১ নভেম্বর) বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টারা নিজেরা ছবি সরানোর কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে। অথচ এই সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা যে সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছেন, সেই সংবিধানে ৪(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কার্যালয় থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে এই সরকার ও তার উপদেষ্টারা শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাদের দ্বারা সংঘটিত শিষ্টাচার বহির্ভূত এই হীন কর্মকাণ্ড একইসঙ্গে অসাংবিধানিক এবং দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অবিসংবাদিত নেতা উল্লেখ করে পোস্টে আরও বলা হয়েছে, বাঙালি জাতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু এক ও অবিচ্ছেদ্য। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তাদের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে এদেশের সাধারণ মানুষ হৃদয়ের গহীনে ধারণ করেছিল।
বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের মহানায়ক দাবি করে আওয়ামী লীগ বলছে, যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন এ জাতিগোষ্ঠীর স্মৃতিতে ও অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুকরণীয় ও অমলিন হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত: বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য শপথ নেয়া মাহফুজ আলম গত সোমবার (১১ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানান।
এদিকে, মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে সংশোধনী পাঠিয়ে সেই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।