Friday, May 30, 2025

মোশতাকও বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়েছিলেন, জিয়া ফের টাঙিয়েছিলেন : রিজভী

আরও পড়ুন

ইতিহাসে যার যেটুকু অবদান ততটুকু বিএনপি স্মরণ করতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খন্দকার মোশতাকও বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়েছিলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফের টাঙিয়েছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কারো গণতন্ত্রের জন্য কোনো অবদান নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজকে অহংকার করেন। আপনারা কেউ তো শেখ হাসিনার দুঃশাসন ঠেকাতে কিংবা মোকাবিলা করতে পারেননি। আমরা শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করেছি।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে, মারা গেছে। চিকিৎসকরা রাতের পর রাত জেগে থেকে চিকিৎসা করেছে, ময়নাতদন্ত করেছে। আমরা হাসপাতাল ঘুরে-ঘুরে তাদেরকে দেখতে গিয়েছি। আপনার (উপদেষ্টা ও সচিব) কয়জন হাসপাতালে গিয়েছেন? আর আজকে অহংকার করেন, কথা বলতে চান না। আমরা আপনাদের চিনে রাখছি। আপনারা কারা? আপনারা শেখ হাসিনার দোসর। বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথা তুলে আজকে সচিব ও যুগ্ম সচিব হচ্ছেন। উপদেষ্টার পদে আছেন।

রিজভী আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছেন স্বাধীনতার পরে। সব দল নিষিদ্ধ করেছেন, গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে তার হাত ধরে। এর আগে ৬০ এর দশকে তিনি স্বাধিকার আন্দোলন করেছেন। মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছিল, ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারেননি। আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে তার ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার যুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন একজন অদম্য সৈনিক, জিয়াউর রহমান।

আরও পড়ুনঃ  ঐক্যের পথে ইসলামী আন্দোলন ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

রিজভী বলেন, দেশ স্বাধীন হলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। আমরা দেখলাম তাদের হাত দিয়ে হত্যা, খুন ও গুম হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খন্দকার মোশতাক বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুরের ছবি নামিয়েছিল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আবার বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি পূরণ করেন। আজকে যারা অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, আমি একটা সংবাদ দেখেছি, সেটা ধরেই বলছি- অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ … শেখ মুজিবের ছবি নামিয়েছেন। এতোদিন বলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু সবকিছু তো একরকম হয় না। আমি মনে করি তাঁর (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) ছবি নামিয়ে ফেলাটা ঠিক হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  দুর্ঘটনায় আহত রুবেল, দুমড়ে-মুচড়ে গেল নায়কের প্রাইভেটকার

আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই, উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এজন্যই বলছি, শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলা ঠিক হয়নি। খন্দকার মোশতাক ছবি নামিয়েছে, জিয়াউর রহমান তুলেছেন। ইতিহাস বিচার করবে। সেই বিচারের ভার জনগণের। আমাদের জাতীয় জীবনে যার যতটুকু অবদান সেটা স্বীকার করতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ