Saturday, June 28, 2025

৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে জামায়াত, যেকোনো দলের সঙ্গে জোটের প্রস্তুতি

আরও পড়ুন

১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২টি আসনে এককভাবে প্রার্থী দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর পরের নির্বাচনেই ২৭২টি আসনে দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলটি।

এর পরের দুটি নির্বাচন জোটগতভাবে অংশ নিলেও ২০১৩ সালের ১ আগষ্ট দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর ৫ বছর পর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

তবে ৫ আগস্টের পরেই বদলে যায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট। অনেকটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে প্রকাশ্য কার্যক্রম শুরু করে জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জানান, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুত তার দল।

আরও পড়ুনঃ  ইসলামী ব্যাংকের সোয়া কোটি টাকা নিয়ে উধাও ক্যাশিয়ার

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এখন নির্বাচন একটা হবে, সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটাকে আমরা একটু গুছিয়ে নিয়েছি। আমাদের এ সংক্রান্ত কমিটিগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। জেলাগুলোকে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছি। আমাদের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া, আগে যারা প্রার্থী ছিলেন অনেকে ইন্তেকাল করেছেন। সেখানে নতুন প্রার্থী যোগ-বিয়োগ এসব প্রক্রিয়া আমরা শুরু করছি। সারাদেশে ৩শ’ আসনেই প্রার্থী দেবার প্রস্তুতি ইনশাআল্লাহ আমাদের আছে।

এরইমধ্যে জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা চলছে অন্যান্য সমমনা ইসলামী দলগুলোরও। তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক সেই সমীকরণটা কেমন হবে তা খোলাসা করেননি মিয়া গোলাম পরওয়ার।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনাকে ডুবালেন আ.লীগের যে চার নেতা

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন যে দেশ গঠনের জন্য যেকোনো দল বা জোটের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে রাজি আছি। তবে জামায়াতে ইসলামী সব দলের সঙ্গে কথা বলছে, আলাদা আলাদ বলছে, কালেক্টিভলি বলছে। আমরা আমাদের মতামত দিচ্ছি ওনারা ওনাদের মতামত দিচ্ছেন। প্রত্যেকের মধ্যেই আন্তরিকতা ও সহযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ইসলাম ও রাষ্ট্রের প্রশ্নে ইসলামী দলগুলোর একই প্লাটফর্মে থাকা উচিত বলে মনে করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

আরও পড়ুনঃ  ৪০ কোটি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ছাপা হয়েছে মাত্র ৪ কোটি!

সর্বশেষ সংবাদ