Saturday, June 28, 2025

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

আরও পড়ুন

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-মধ্য দিকে সরে গেছে এবং ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপকূলের মানুষ।

এমন অবস্থায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সমতলে প্রবেশ করার কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।

আরও পড়ুনঃ  কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাগর উত্তাল থাকলেও ঘূর্ণিঝড় দানা সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। ইতোমধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম এর মাঝামাঝি এলাকাগুলোয় দমকা ঝড়ো হাওয়া বইছে। এর ফলে কোনো কোনো এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও অতিভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভবনা নেই।

‘দানা’র প্রভাবে ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টি, থাকবে যতদিন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার হতে পারে, যা সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশে দানা’র প্রভাব তেমন একটা পড়বে না। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর বেশি সংকেত আর বাড়ানোর সম্ভবনা নেই।

আরও পড়ুনঃ  কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনার টাকা ‘আত্মসাৎ’ করলেন কৃষি কর্মকর্তা

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি দূরে, মংলা থেকে ৪৮৫ কিমি, কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ ও চট্টগ্রাম থেকে ৫৯৫ কিমি দূরে অবস্থান করছে। দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ