আমাদের মতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন চলা খুব কঠিন হয়ে গেছে বলে জানান তারা।
সবজি বাজারের আড়তদার মুকুল মিয়া (৬৮), আলম মিয়া (৬৫) ও আনারুল মিয়া (৪৫) বলেন, বর্তমান স্থানীয় ভাবে সবজির আমদানি না হওয়ায় সবজির দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া মরিচ, আলু, বেগুন ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজির বাজার বৃদ্ধি রয়েছে। স্থানীয় ভাবে সবজির আমদানি শুরু হলে কিছুটা কমতে শুরু হবে। এ ছাড়া আমাদের এলাকায় ধান, পাট, ভুট্টা বেশি চাষাবাদ করা হয়। এ কারণে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে সবজি নিয়ে আসতে হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও থেকে।
তারা আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর মোকাম (পাইকারি বাজার) গুলোতে সবজির দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের এখানে আমদানি কমে যায় ফলে দামও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া গাড়ি ভাড়ার উপর কিছুটা দাম কম বা বেশি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন বলেন, এবার অসময়ে বর্ষা ও বন্যার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে সবজি চাষে ব্যাঘাত ঘটেছে। স্থানীয় ভাবে সবজির আমদানি না হলে বাজারে সবজির মূল্য স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় ভাবে যে সব সবজি চাষ হয় তাতে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। কৃষকদের বেশি বেশি করে সবজি চাষের পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।