গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। ইতি ঘটে হাসিনা সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলের। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূস সরকার দায়িত্ব নিলেও প্রশাসনের সর্বাঙ্গে দলীয়করণের ফলে নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মুখে পড়তে হয়েছে বর্তমান সরকারকে। এর বাইরেও একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে উগ্র ইসলামপন্থি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কৌশলে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর কালো পতাকা ছাত্র-জনতার হাতে তুলে দিয়েছে গোষ্ঠীটি। আর সেটি না বুঝেই আবেগে হাতে তুলে নিয়ে মিছিল করছে ছাত্র-জনতা। এসব ছবি ও ভিডিও বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উগ্র ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। আর তা ফলাও করে প্রচার করছে বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
তথ্য বলছে, ষড়যন্ত্রকারী দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীগুলো তুরুপের তাস হিসেবে বেছে নিচ্ছে উগ্র ইসলামপন্থিদের। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা গোয়েন্দাদের একাংশ। তারাই উগ্রপন্থিদের উসকে দিচ্ছেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিককালে হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ নির্দিষ্ট কোনো পক্ষের পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব নয়। এসব মিছিল-সমাবেশের ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল করা হচ্ছে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে। বিদেশি কয়েকটি গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। অন্যদিকে, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ফের সক্রিয় করা। যে কারণে নানা দাবি নিয়ে যারাই এখন মাঠে আন্দোলনে নামছেন, তাদেরই প্রচ্ছন্ন সহায়তা দিচ্ছে গোয়েন্দা এবং পতিত সরকারের সুবিধাভোগী ওই অংশ।
জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা দাবি নিয়ে মাঠে নামা। এ ছাড়া ধর্ম এবং জাত-পাতের ধোয়া তুলেও মাঠে নামছেন অনেকে। পার্বত্য এলাকায় দীর্ঘদিনের পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করে উসকে দেওয়া হয়েছে বিভেদ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নানা ধর্মীয় স্থাপনায়ও হামলার চেষ্টা হয়েছে বারবার। উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে ধর্মীয় বিভেদের। তবে সরকারের কঠোর এবং বিচক্ষণ পদক্ষেপে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে