Saturday, June 28, 2025

এবার কি খামেনিকে হত্যা করবে ইসরায়েল?

আরও পড়ুন

প্রথমে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, এরপর শেষ করে দেওয়া হলো হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে। এবার ইসরায়েলের টার্গেট কে? কোনো কিন্তু ছাড়াই বলা যায়- পশ্চিমা খুঁটির জোরে নাচা ইসরায়েলের এবারের টার্গেট ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। কিন্তু ইরান কি তা অনুধাবন করতে পারছে?

উত্তরটা হলো হ্যাঁ। ঠিক এই কারণেই নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে, এমন দাবির মুখেই গোপন ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে।

ইরানের অভ্যন্তরীণ গোপন সংবাদের বিষয়ে অবগত এমন দুজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে দেশের ভেতরে একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে- এমন খবর জানার পরই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার মানে ইসরায়েলের গোয়েন্দারা এবার যে খামেনিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে নেমে পড়েছে, সেটি টের পেয়েছে তেহরান। তাই তো এমন সতর্কতা।

আরও পড়ুনঃ  এবার নেতাকর্মীদের যে নির্দেশ দিলেন ইশরাক

হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর রাজধানী তেলআবিব থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই ভাষণ ছিল দম্ভ, হুমকি আর হুঁশিয়ারিতে পরিপূর্ণ। কোনো রাখঢাক ছাড়াই আয়াতুল্লাহ খামেনিকে উদ্দেশ করে নেতানিয়াহু বলেন, যারা আমাদের আঘাত করে, আমরা তাদের পাল্টা আঘাত করি। ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ইসরায়েলের দীর্ঘ হাত পৌঁছাতে পারে না।

কোনো শত্রুই ইরান আক্রমণের সাহস করে না, বললেন খামেনি
নেতানিয়াহুর এমন সরাসরি হুমকির পর ধারণা করা হচ্ছে, এবার ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির বন্দুক হয়তো খামেনির দিকেই তাক করা। সামান্য কোনো ভুলে কিংবা ইরানি গোয়েন্দাদের বিশ্বাসঘাতকতায় প্রাণ হারাতে পারেন প্রতিরোধ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। এরই মধ্যে হাসান নাসরুল্লাহ ইরানি গোয়েন্দাদের বিশ্বাসঘাতকতায় নিহত হয়েছেন, উঠছে এমন জোরালো অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ  দেশে ফিরলেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে প্যারিসিয়েন জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গেল শুক্রবার নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য জানিয়ে দেয় এক ইরানি গুপ্তচর। এরপরই তার অবস্থানে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে তেলআবিব।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, অভিযুক্ত ওই ইরানি গুপ্তচর ইসরায়েলকে জানায়, শুক্রবার বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাসরুল্লাহ। তিনি যখন মাটির নিচে অবস্থিত সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন, তার কিছুক্ষণ পরই বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যা হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে ধসিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  দেড় মাস পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। সম্প্রতি তারা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যেসব সাফল্য পেয়েছে সেগুলো এসব গোয়েন্দা কার্যক্রমের কল্যাণেই এসেছে। তারা হিজবুল্লাহ সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে। যার মধ্যে অন্যতম হলো হিজবুল্লাহ ও ইরানের মধ্য থেকেই গুপ্তচর নিয়োগ করা।

সর্বশেষ সংবাদ