Monday, June 2, 2025

কেজি দরে বিআরটিসির বাস বিক্রি করে দিয়েছেন কর্মকর্তা

আরও পড়ুন

সরকারি বিআরটিসি বাসে চলা দীর্ঘদিনের দুর্নীতি অনিয়ম যেন থামছেই না। এবার কেজি দরে বিআরটিসির বাস বিক্রি করে দিয়েছেন এক কর্মকর্তা। এখানেই ক্ষান্ত হননি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, প্রতারণা ও কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাটির তদন্তে এর প্রমাণও মিলেছে। তিনি হলেন বিআরটিসি কল্যাণপুর বাস ডিপোর সাবেক ইউনিট প্রধান নুর-ই-আলম।

বাস বিক্রি নিয়ে নুর-ই-আলমের বিরুদ্ধে বিআরটিসিতে একটি অভিযোগনামা জমা পড়েছে। যার একটি কপি কালবেলার হাতে এসেছে। যেখানে দেখা যায়, বিআরটিসির কল্যাণপুর বাস ডিপোর ইউনিটপ্রধান ছিলেন নুর-ই-আলম। তিনি গত বছর ৯ মার্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ডিপোতে থাকা ঢাকা মেট্রো-চ-৭৩৬০ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি বাস কেটে বাইরে বিক্রি করে দেন।

আরও পড়ুনঃ  প্রত্যেকটা গুলির স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচার হবে : রিজওয়ানা

এ বিষয়ে তার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ব্যবস্থাপক (কারিগরি) মো. মনিরুজ্জামানের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিআরটিতেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসটি বিআরটিসির নামেই নিবন্ধিত ছিল।

বাস বিক্রিয় বিষয় তদন্তে প্রমাণিত হলে নুর-ই-আলমকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯০-এর ৩৯ (ক), (খ) ও (চ) দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এমন ঘটনার অভিযুক্ত হলেও শাস্তি তো দূরের কথা নুর ই আলম পেয়েছে পদোন্নতি। এখন তিনি বিআরসিটির প্রধান কার্যালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুনঃ  অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে যা বলল জাতিসংঘ

ডিপোর বাস বিক্রি নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির দায়িত্বে থাকা বিআরটিসির ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান কালবেলাকে জানান, ‘বাস বিক্রি করে দেওয়ার উপযুক্ত প্রমাণ পেয়েছি। ওই সময় দায়িত্বে থাকা কয়েকজন তদন্ত কমিটিতে সরাসরি সাক্ষী দিয়েছেন যে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বাসটি বিক্রি করেছেন। আর সেজন্য কিছু কর্মকর্তাকে তিনি আর্থিক সহযোগিতাও দিয়েছে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একটি অভিযোগনামা বিআরটিসিতে জমা দিয়েছি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে নুর-ই-আলমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। মেসেজ দিলেও মেলেনি কোনো উত্তর।

আরও পড়ুনঃ  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিসির মুখপাত্র মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার কালবেলাকে জানান, নুর ই আলম বর্তমানে বিআরটিসির সচিব হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ আছে সেগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তার বিষয়ে বিআরটিসি থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ