Monday, August 18, 2025

বুধবার থেকে সব গার্মেন্টস খোলা থাকবে : শ্রম উপদেষ্টা

আরও পড়ুন

গার্মেন্টস শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হবে এবং বুধবার থেকে সব গার্মেন্টস খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সম্প্রতি দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে শ্রমিক এবং মালিক পক্ষের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, মালিক-শ্রমিক কোনো পক্ষ ১৮টি দাবি মেনে নেওয়া বা বাস্তবায়নের বিষয়ে আপত্তি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি দেশের শিল্পকে বাঁচানোর জন্য আগামীকাল বুধবার থেকে সব শ্রমিককে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  অত্যাধুনিক মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা নিয়ে ইরানের সতর্কবার্তা

শ্রমিকদের ১৮ দাবিগুলো হলো :

১. মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনপূর্বক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

২. যেসব কারখানায় ২০২৩ সালে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে।

৪. কোনো শ্রমিকের চাকরি পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলে অথবা চাকরিচ্যুত হলে একটি বেসিকের সমান অর্থ দিতে হবে, এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক শ্রম আইনের ২৭ ধারাসহ অন্য ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  চার বছরের শিশুর গলায় ছুরি ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা!

৫. সব ধরনের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।

৬. হাজিরা বোনাস (২২৫ টাকা), টিফিন বিল (৫০ টাকা), নাইট বিল (১০০ টাকা) সব কারখানায় সমান হারে বাড়াতে হবে।

৭. সব কারখানায় প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৮. বেতনের বিপরীতে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ন্যূনতম ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।

৯. শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

১০. বিজিএমইএ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করা যাবে না, বায়োমেট্রিক তালিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

১১. সব ধরনের হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  রাতে গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে তারা, এরপর যা করলো...

১২. ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন করতে হবে।

১৩. কলকারখানায় বৈষম্যবিহীন নিয়োগ দিতে হবে।

১৪. জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

১৫. রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে তদন্তান্তে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

১৬. শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে।

১৭. অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে।

১৮. নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করতে হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ